সারা বাংলা

মেয়ের চিকিৎসায় জমি বিক্রি করায় শাশুড়িকে হত্যা, পুত্রবধূ গ্রেপ্তার

অসুস্থ্য মেয়ের চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মোমেনা বেওয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ ও নাতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্রবধূ নাজমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। 

এরআগে, গত শনিবার নাজমা খাতুন (৫৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, বৃদ্ধা মোমেনা বেওয়ার স্বামীর মৃত্যুর পর পুত্রবধূ ও নাতির সঙ্গে উল্লাপাড়া উপজেলার দহকুলা গ্রামের বসবাস করতেন। বৃদ্ধ মোমেনার নামে কিছু জমি ছিল। ওই জমি বিক্রির টাকা তিনি তার অসুস্থ মেয়ে সালমা খাতুনের চিকিৎসায় ব্যয় করেন। এছাড়া নাজমা খাতুনের অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই দুটি ঘটনা নিয়ে পুত্রবধূ ও নাতির সঙ্গে মনোমালিন্য হয় মোমেনা বেওয়ার। এরই জেরে বৃদ্ধাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন পুত্রবধূ ও নাতি। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৭ মে রাতে বৃদ্ধা মোমেনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে শাড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বৃদ্ধার মেয়ের জামাই মাহবুবুল আলম বুলু বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ মোমেনা বেওয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে নিহতের মেয়ের ছেলে আমিরুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ২ বছর ৯ মাস তদন্ত চলাকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের পুত্রবধূ নাজমা খাতুনকে গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।