সারা বাংলা

চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল উদ্বোধন

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী-‌রৌমারী নৌরু‌টে চালু হ‌লো ফে‌রি সার্ভিস। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিলমারীর রমনা ঘাটে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এসময় তিনি চিলমারী নৌ-বন্দর উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্থরও উদ্বোধন করেন।

ফেরি চালুর ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বরা বিচ্ছিন্ন রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ এখন কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও কম খরচে পণ্য পরিবহন করে ব্যবসা বাণিজের উন্নয়ন করতে পারবেন। এর আগে এই অঞ্চলের মানুষ নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতেন। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় এখন খুশি তারা।

আরও পড়ুন: আগামী বুধবার চালু হচ্ছে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‌নদের নব্যতা সংকট দেখা দিলেও ডেজিংয়ের মাধ্যমে ফেরি চলাচল অব্যাহত রাখা হবে। 

নৌ-বন্দর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এই এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চিলমারী নৌ-বন্দর প্রতিষ্ঠার কাজ অনেক এগিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কবে চিলমারী বন্দরকে বাণিজ্য উপযোগী করা হবে।

চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদেরও চাপ আছে পশ্চিমা দেশের ওপরে। আমরা স্বাধীন দেশ, যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। রক্তের বিনিময়ে আমরা বিজয়ী হয়েছি। আওয়ামী লীগ কখনো কারো কাছে মাথা নত করবে না। আমাদের দেশ চলবে সংবিধানের ভিত্তিতে। আমাদের দেশ পরিচালনায় শাসনতন্ত্র আছে, একটা সরকার কাঠামো আছে। কাজেই এই দেশ অন্য কারো কথা চলবে না। দেশ চলবে জনগণের কথায়, সংবিধানের ভিত্তিতে।

ফেরি ও নৌ-বন্দর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রথমে চিলমারী ও পরে রৌমারী উপজেলায় সুধি সমাবেশের আলোসভায় যোগদেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে আরও ‍উপস্থিত ছিলেন- কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনসহ বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তারা।