সারা বাংলা

৭ দিন পর মিজানুরের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তের বিপরীতে বিএসএফের গুলিতে নিহত মিজানুর রহমানের (৫০) লাশ ফেরত পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার ৭ দিন পর গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিজিবি ও পুলিশের মাধ্যমে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

জীবননগর থানার এসআই এসএম রায়হান লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মিজানুর ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়ার নবিছদ্দীনের ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেণীপুর গ্রামের বডারগেট পাড়ার মৃত নছর উদ্দিনের মেয়ে জামাই।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে মিজানুরকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএফ ও ভারতীয় পুুলিশ গতকাল মিজানুরের লাশ সীমান্তে নিয়ে আসে। চুয়াডাঙ্গা ৫৮ বিজিবি বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নোনাগঞ্জ শুন্যরেখায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে দিয়ে মিজানুরের মরদেহ শনাক্ত করায়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিজানুরের লাশ পরিবারের কাছে  হস্তান্তর করা হয়।

জীবননগর থানার এসআই এসএম রায়হান জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জে অনুেপ্রবেশের দায়ে মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। পরে তারা নিহতের লাশ নিয়ে যায়। ৫৮ বিজিবি ঘটনাটি জানতে পেরে বিএসএফের কাছে মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত চায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাংলাদের বেনীপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের নোনাগঞ্জ শুন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফ-এর মধ্যে জরুরী পতাকা বৈঠক হয়। এরপর ভারতের নোনাগঞ্জ থানার এসআই সৈকত পাড়ে মিজানুর রহমানের লাশ আমার কাছে বুঝিয়ে দেন। আইনী প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে পরে মিজানুর রহমানের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর কর হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বেনীপুর বিওপির কমান্ডার আতিয়ার রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।