কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত উপজেলা ইটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সোহেল মিয়া (২৩) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল মিয়া ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারের বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালে সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র দেন সাবিনার বাবা। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন যাওয়ার পর যৌতুকের জন্য সাবিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার শুরু করে তার স্বামী। পরে ভ্যান কেনার জন্য সোহেল মিয়াকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেন সাবিনার বাবা। কিন্তু এরপর আবারও সোহেল মিয়া এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে দিতে অপারগতা জানান সাবিনা আক্তার। এরই জেরে ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল রাতে বসতবাড়ির উত্তর পাশের জাম্বুরা গাছের নিচে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে ঘটনার দিনই সাবিনার বাবা ইদ্রিস মিয়া সাবিনার স্বামী সোহেল মিয়া ও শাশুড়ি ফুলবানুকে অভিযুক্ত করে ইটনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট তৎকালীন ইটনার থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবিব আসামি সোহেল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।