সারা বাংলা

সরকারি ভ্যাকসিনে ১২ গরুর মৃত্যুর অভিযোগ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ১২টি গরু মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া শতাধিক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। সম্প্রতি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের যাদুপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর যাদুপুর গ্রামে সরকারি রোগ প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে স্থানীয় এক পশু চিকিৎসক মাইকিং করেন। নামমাত্র মূল্যে স্থানীয় লোকজন গরুকে ভ্যাকসিন দেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রামের ৮টি গরু মারা যায়। এখন পর্যন্ত ওই গ্রামে মোট ১২টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, সদর উপজেলার চরমহোনপুর-নামোপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে মো. মাইনুল নিজেকে জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মাইকিং করেন। পরে গ্রামবাসী গরুকে ভ্যাকসিন দেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই গরুর শরীরে জ্বর আসে। একই সঙ্গে প্রাণীগুলোর পেট ফাপা, মুখ দিয়ে লালা ঝড়তে শুরু করে। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২টি গরু মারা যায়।

মো. সবুর আলী নামে কৃষক বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আমার পালিত দুটি গরু মারা গেছে। গরুগুলো বাজারে বিক্রি করলে লাখ দেড়েক টাকা যাওয়া যেতো। এ গ্রামে যার যারা পশুকে সরকারি ভ্যাকসিন দিয়েছেন তাদের সবার গরুই গুরুতর অসুস্থ। ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিকরা গরু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে আছে। আর যাদের গরু অসুস্থ হয়ে আছে তাদের মধ্যেও আতঙ্ক রয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবু সালেহ আল হাম্মাদ রাজিব জানান, এখন পযন্ত যাদুপুর গ্রামে ১২টি গরু মারা গেছে। এছাড়াও শতাধিক গরু অসুস্থ। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।  

অভিযুক্ত পশু চিকিৎসক মাইনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যাদুপুর গ্রামের খবরটি শোনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি ভ্যাকসিন থেকে গরু মরা ও অসুস্থ হওয়ার খবরটি যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত করে জানা যাবে গরুগুলো মারা যাওয়ার আসল কারণ। অভিযুক্ত পশু চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম জেলা প্রাণীসম্পদর কার্যালয়ের কেউ নন। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।  ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিকদের আর্থিক সহয়তারও আশ্বাস দেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।