খেলাধুলা

ফুটন্ত জলে অবাক করা ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’

ঝটপট খাবার হিসেবে নুডলসের জনপ্রিয়তা অনেক। বিতর্ক থাকলেও তুমুল জনপ্রিয় এই খাবারটির আবিষ্কারক হিসেবে চীনকেই ধরা হয়। যারা নুডুলসের আবিষ্কারক তাদের দেশে এটার চাহিদা তুঙ্গে থাকবে সেটা স্বাভাবিক।

চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হ্যাংজু শহরে চলমান এশিয়ান গেমসের মিডিয়া ডাইনিংয়েও জনপ্রিয়তার বিষয়টি টের পাওয়া গেল। সকাল-দুপুর কিংবা রাতে- বুফের ভাত, মাছ, মাংসসহ অন্যান্য দারুণ দারুণ সব খাবার রেখে ইনস্ট্যান্ট নুডলসের টেবিলে ভীড় লেগেই থাকে মিডিয়া কর্মীদের।

তবে তাদের নুডলসের জন্য লাইন ধরে থাকা এবং পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে গ্রোগ্রাসে খাওয়ার দৃশ্যের চেয়ে বেশি নজর কাড়ে শেফের নুডুলস বানানোর দৃশ্য। তিনি প্রয়োজনীয় সব উপাদান ও উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে দিয়ে যে খামি বানান এবং সেই খামি থেকে হাতের দশ আঙ্গুলের সাহায্যে মুহূর্তের মধ্যেই যে নুডলস বানিয়ে ফেলেন সেটা অসাধারণ।

হাতের কারুকাজে বানানো নুডুলস সঙ্গে সঙ্গে ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দেন। সেটা সিদ্ধ হলে পানি থেকে তুলে যার যার পছন্দ অনুযায়ী ঝোল, সস, ধনিয়া পাতা, পেয়াজ পাতার কুচি ও অন্যান্য স্থানীয় মসলা দিয়ে নিয়ে যান। এরপর তৃপ্তি নিয়ে খান। এটা এতো বেশি খাওয়া হয় যে সবকিছু দ্রুতই ফুরিয়ে যায়। আবার আনতে ও বানাতে হয়।

উল্লেখ্য, ৪ হাজার বছর আগেকার চীনে নুডলস খাওয়ার সবচেয়ে পুরনো নিদর্শন রয়েছে। ২০০৫ সালে চীনের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ করার সময় মাটির পাত্র খুঁজে পেয়েছিলেন। যেখানে ফক্সটেইল মিলেট এবং ব্রুমকর্ণ মিলেটের সন্ধান পাওয়া যায়। এমনকি নুডলসের লিখিত নথি পাওয় যায় ২৫-২২০ সালের মধ্যে পূর্ব হান সাম্রাজ্যকালে লিখিত একটি বইয়ে।

সে সময় গমের ময়দার খামির থেকে তৈরি নুডলস হান রাজত্বের প্রধান খাদ্যে পরিণত হয়। ট্যাং সাম্রাজ্যকালে সর্বপ্রথম নুডলস কেটে সুতার আকারেও তৈরি করা হয়। আর ইউয়ান রাজত্বকালে শুকনো নুডলস তৈরির প্রচলন শুরু হয়।

নুডলসের আবিষ্কারক যে কিংবা যারাই হোক না কেন, এটি সব মহাদেশেই সমান জনপ্রিয়। নুডলস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ সম্ভবত কমই আছেন।

ইতিহাস অংশের তথ্যসূত্র: কোরা