সিরাজগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সভাপতি হেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই ঘণ্টার মধ্যে আমাকে হেলাল আহমেদ যদি বিয়ে না করেন তবে আমি আত্মহত্যা করবো। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য পঞ্চায়েত কমিটিসহ পারিবারিকভাবে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
অভিযুক্ত হেলাল আহমেদ দৈনিক করতোয়া পত্রিকার বহিষ্কৃত সাংবাদিক ও সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি।
পুলিশের কাছে ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় সিরাজগঞ্জ শহরের বড়পুল এলাকার হেলাল আহমেদের অফিসে কয়েকদিন যান তিনি। এই সুযোগে হেলাল আহম্মেদ তাকে চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অফিসের ভেতরের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন হেলাল আহমেদ তাকে ধর্ষণ করেন। এমনকি তাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়ে যেতেন হেলাল আহমেদ।
গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হেলাল আহমেদ ওই নারীকে শহরে তার মেয়ের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ওই গৃহবধূকে মারধর করেন ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরে ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ হেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হেলাল আহমেদ বলেন, সাজানো ঘটনায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই নারীকে আমি কিছু করিনি। আমার বউ তাকে একটু মারধর করেছে। বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, মারধরে আহত ওই নারী থানায় আসেন। ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে তাকে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই গৃহবধূকে মেডিক্যাল করানো হয়েছে। ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।