খেলাধুলা

রোবোটিক মাসকটে মুগ্ধ মানুষ

এশিয়ান গেমসের মাসকট তিনটি। তিনটিই রোবোটিক। যাদের নাম চেনচেন, লিয়ানলিয়ান ও চংচং। তিনটি রোবোটিক মাসকট চীনের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে।

যেমন: লিয়ানলিয়ান হচ্ছে আয়োজক শহর হ্যাংজুর বিখ্যাত এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ওয়েস্ট লেকের প্রতিনিধিত্ব করছে। গায়ের রঙ সবুজের মাধ্যমে সে জীবন ও প্রকৃতিকে তুলে ধরছে। বিশেষ করে হ্যাংজুর পরিস্কার পানির ওয়েস্ট লেককে। তার মাথাটা দেখতে পদ্ম ফুলের মতো। সেখানেও ওয়েস্ট লেকের নৈসর্গিক দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

চংচং প্রতিনিধিত্ব করছে হ্যাংজুর লিয়াংজু শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষকে। তার হলুদ রঙ ফসলের বাম্পার ফলনকেও নির্দেশ করে।

অন্যদিকে নীল রঙের চেনচেন প্রতিনিধিত্ব করছে বেইজিং-হ্যাংজুর গ্র্যান্ড খালকে। যা মানুষের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় খাল। তার মাথায় কিয়ানতাং নদীর ঢেউ শোভা পাচ্ছে।

সব মিলিয়ে তিনটি রোবোটিক মাসকট চীনের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান এবং চীনের উদ্ভাবনী শক্তিকে তুলে ধরছে।

এই রোবোটিক মাসকট নিয়মিত বিভিন্ন ভেন্যুতে যাচ্ছে। যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই তাদের ঘিরে তৈরি হচ্ছে জটলা। ভিডিও ধারন, ছবি তোলা, গ্রুপ ছবি তোলা চলে পালাক্রমে।

মানুষের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি নানারকম মিথস্ক্রিয়ায়ও অংশ নেয়। সবার সঙ্গে হাতে মেলানো। কখনো কখনো আলিঙ্গন করা। নানা ঢঙে ছবি তোলার জন্য পোজ দেওয়া। আবার কখনো না নাচানাচি করা। সব মিলিয়ে এশিয়ান গেমসে আগতদের নানাভাবে মাতিয়ে রাখার চেষ্টা করছে মাসকট চংচং, লিয়ানলিয়ান ও চেনচেন। মানুষও তাদের দেখে মুগ্ধ হচ্ছে। ছবিতে কিংবা ভিডিওতে স্মৃতির ফ্রেমবন্দি করে রাখছে।