সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস শেডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় দেড় হাজার ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে সহায়তা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। পূজা মণ্ডপের ধরণ অনুযায়ী প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া র্যাব সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। তাৎক্ষণিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার ব্রিগেডের বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিটি মণ্ডপকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন ও টিমের সদস্যদের সার্বক্ষণিক পালাক্রমে নিরাপত্তা ডিউটিতে মোতায়েন এবং তাদের পরিচিতির জন্য নির্ধারিত পোশাক ও আইডি কার্ড পরিধানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সিএমপি কমিশনারের সভায় পূজা মণ্ডপে দর্শণার্থী প্রবেশের সুবিধার্থে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ ও বহির্গমন পথের ব্যবস্থাকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে বড় বড় প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর, ফায়ার এক্সটিংগুইশার ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার জন্য নেতাদের প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া, নামাজের সময় মণ্ডপের সাউন্ড সিস্টেম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দুর্গাপূজা উদযাপনকালীন মহানগরীতে মণ্ডপ কেন্দ্রিক মাদক, ছিনতাই এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান কার্যক্রম জোরদার, টহল বৃদ্ধি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ঊর্ধ্বতন অফিসার কর্তৃক নিয়মিত প্রতিটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সভায় অবহিত করা হয়। এছাড়া পূজা মণ্ডপের আশেপাশে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, মেলা, রাস্তার ওপর দোকান না বসানোর জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন এবং জরুরি সেবা পেতে ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানান সিএমপি কমিশনার।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো.আব্দুল ওয়ারীশ প্রমুখ।