সারা বাংলা

রংপুরে ৯৫৭ মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি

আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে রংপুরের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরি ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে খুব দ্রুততার সঙ্গে। এবার দেশের উত্তরের জেলা রংপুরের ৯৫৭টি মণ্ডপে আয়োজন করা হবে দুর্গাপূজা। নির্বিগ্নে উৎসব আয়োজনে সিসি ক্যামেরাসহ চার স্তরের নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক বলেন, এবার রংপুর জেলার  ৯৫৭টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের  আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রীতির এই জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব ধর্মালম্বীদের কাছে আমরা সহায়তা চাই। 

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রংপুরের বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমাগুলো। বর্তমানে রাতদিন কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এদিকে, প্রতিমার পাশাপাশি ব্যস্ততা রয়েছে প্যান্ডেল নির্মাণেও। উৎসবে নতুনত্ব আনতে এবারও রংপুরের কিছু মন্দিরে প্যান্ডেলের থিমে থাকছে নানা বৈচিত্র্য।

নগরীর আদর্শ পাড়ার একটি মন্দিরে কথা হয় প্রতিমা কাড়িগড় মনোরঞ্জন পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ১২-১৩টি মণ্ডপের কাজ চলমান। কথা বলারও আমরা সময় পাচ্ছি না। আগামী ৩-৫ দিনের মধ্যে দেবী দুর্গাকে মণ্ডপগুলোতে পৌঁছে দিতে হবে। কাদা মাটির কাজ শেষ। এখন চলবে রং তুলির কাজ।

প্রতিমা তৈরির মজুরি প্রসঙ্গে এই কারিগর বলেন, কাজ ভেদে মজুরি নেই ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তবে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় কিছুই থাকে না। 

রংপুর মহানগর কোতয়ালী থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি খোকন সরকার বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আগামী ২০ অক্টোবর মহালয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের এই ধর্মীয় উৎসব। ঘোড়ায় চড়ে এসে দেবী দুর্গা মহাদশমিতে যাবেন সেই ঘোড়ায় চড়ে। সামনে জাতীয় নির্বাচন তাই পূজাকে ঘিরে কোনো মহল যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে সে ব্যপারে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। প্রশাসনসহ আমরাও সর্বদা সতর্ক আছি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে পারি।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, রংপুর মহানগর এলাকার আওতাধীন পূজা মণ্ডপগুলো সিসিটিভির আওতায় আনার পাশাপাশি চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পূজা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে সে দিকে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।