সারা বাংলা

বান্দরবানে ৩২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা 

আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজাকে সামনে রেখে বান্দরবানে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। মাটির কাজ শেষে এখন শিল্পীদের রঙ তুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠছে দেবীর রূপ। প্রতিবারের মতো ব্যাপক আয়োজনে এবারও জেলা শহর এবং উপজেলার ৩২টি মণ্ডপে আয়োজন করা হবে এই উৎসবের।

উৎসবকে পরিপূর্ণ করতে দিনরাত মণ্ডপগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শহরের কয়েকটি মণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদামাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় গড়ে তোলা হয়েছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। মাটির কাজ শেষে এখন চলছে রঙ তুলির কাজ। দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের।

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবছর বান্দরবান সদরে ১১টি, লামা উপজেলায় ৮টি, আলীকদম উপজেলায় ৬টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ২টি ও রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। 

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস দাশ জানন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজার মণ্ডপ তৈরী করা হয় বান্দরবানে রাজার মাঠে। এবার ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে পূজামণ্ডপকে সাজানো হচ্ছে। 

জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাশ জানান, ২০২১ সালে জেলার লামা উপজেলায় দুর্গা পূজামণ্ডপে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। আশাকরি এবার সেই ধরণের ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে মনেে করেন । 

বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সাদা পোশাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ পুলিশের দল টহলে থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে তিন স্থরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা পর্যন্ত পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন।