সারা বাংলা

রাঙামাটির মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জার কাজ

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে চলছে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরী শেষে সাজসজ্জার কাজ। উৎসব আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এদিকে, সুষ্ঠুভাবে পূজা আয়োজনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

আগামী শুক্রবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ব্যস্ততা চলছে। এইবার জেলার ১০টি উপজেলার ৪৩টি মন্দিরে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

রাঙামাটি শহরের আসামবস্তী শীতলা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী সঞ্জীব বড়ুয়া বলেন, দুর্গাপূজায় বিভিন্ন মণ্ডপের জন্য প্রতিমা তৈরী করে থাকেন তিনি। সব প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। 

শহরের কাঠালতলী সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মাতৃ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পার্থ সেন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমরা যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি। এবারের পূজায় প্রশাসন থেকেও নিরাপত্তার বিষয়টিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছি। আশা করছি দুর্গাপূজা অত্যন্ত উৎবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

রাঙামাটি পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টচার্য বলেন, রাঙামাটিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাহাড়ে দুর্গাপূজা পাহাড়ি-বাঙালির এক মিলন মেলায় পরিণত হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার বলেন, অত্যন্ত আড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে  দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি এ বারের উৎসব আনন্দের মধ্যে উপভোগ করা যাবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, রাঙামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাঙামাটিতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মন্দির নেই। ইতোমধ্যে রাঙামাটির সব মন্দিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।