এক তরুণীর সঙ্গে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর একটি ভিডিও বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে তিনি স্বীকার করেছেন, সংসদ সদস্য এনামুলের সঙ্গে তাঁর সাত বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। এর একদিন পরই অপর এক ভিডিওতে ওই তরুণী দাবি করেছেন, এনামুলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে দিয়ে এসব কথা বলিয়েছিলেন। ঘটনা তেমন নয়, এমপি এনামুল ভালো মানুষ।
ওই তরুণীর প্রথম ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর একটি ফোন রেকর্ডও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। এতে ওই তরুণীর সঙ্গে এমপি এনামুলের মতো কণ্ঠস্বরের এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। অশ্লীল এই ফোনালাপ বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হকের বলেই দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে, সংসদ সদস্য এনামুলের শাস্তির দাবিতে বুধবার (৮ নভেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে ‘সচেতন বাগমারাবাসী’ লেখা ব্যানার নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত সোমবার ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে সংসদ সদস্য এনামুলের কথোপকথনের একটি অশ্লীল অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া অডিওতে যিনি কথা বলছেন, সেই কণ্ঠস্বর সংসদ সদস্য এনামুলেরই। তারা বলেন, এর আগে ৫ এপ্রিল ৫ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও কলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওতে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সংসদ সদস্য এনামুলকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে। তাই একজন আইন প্রণেতার এমন চরিত্র আমাদের কারও কাম্য নয়। এমন একজন ব্যক্তিকে আগামীতে যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়া না হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক তরুণী ও নারীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন সংসদ সদস্য এনামুল। তার কারণে বাগমারাবাসী দেশের কোথাও মুখ দেখাতে পারে না। এজন্য তারা তার শাস্তি দাবি করছেন।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম.এম এনামুল হক, আউচপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হাফিজুর রহমান, রাজশাহী জেলা মৎসজীবী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু রায়হান, আউচপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচিতে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েক শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য এনামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে, ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার আইডি হ্যাক করে কেউ ভিডিওটি বানিয়েছে।