সারা বাংলা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বাগেরহাটে টানা বর্ষণে ধান চাষিদের ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাগেরহাটের ধান চাষিরা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার কিছু আমন ধানের ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলা। বাগেরহাটের ফকিরহাট, শরণখোলা, রামপালসহ কিছু এলাকায় বৃষ্টির ফলে আধা পাকা আমন ধান নুয়ে পড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টিতে ঘেরের পাড়ের ও শীতকালীন সবজিতে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে জানা গেছে। 

ফকিরহাটের দেয়াপাড়া গ্রামের বোরো চাষি মান্নান শেখ বলেন, দশ কেজি বীজ ধান পানিতে ভিজিয়ে প্রস্তুত করেছি। দুই দিনের বৃষ্টিতে মাঠে প্রায় দেড় ফুট পানি জমেছে। এই পানি যদি এক দিনের ভেতর না কমে তাহলে বীজগুলো জমিতে দিতে পারবো না। সময়মতো বীজ না ফেলতে পারলে আমার ৩০০০ টাকার ক্ষতি হবে।

শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালীর আমন চাষি রেজাউল গাজী বলেন, আমন ধান কাটার সময় হয়ে এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটার ইচ্ছা ছিল। বৃষ্টির  কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। ধানগুলো আধা পাকা অবস্থায় পানির ভেতর নুয়ে পড়েছে। আমার এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবো জানি না।

আমন চাষি হারুণ শেখ বলেন, কয়েকদিন হয়েছে ধানে ফুল বের হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধান দাড়ানো রয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি বেশি হয়, তাহলে ধান ঘরে তোলা যাবে না।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। অনেকেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। কিন্তু যাদের ধান পাকেনি তারা ধান কেটে তুলতে পারেননি। বিভিন্ন স্থানে বোরো ধানের বীজ তলায় পানি জমেছে। এখনো সময় রয়েছে, কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। তবে ঘেরের পাড়ের ও শীতকালীন সবজিতে এই বৃষ্টির তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।