সারা বাংলা

নোয়াখালীতে ঝড়ে ধান-সবজির ক্ষতির আশঙ্কা 

নোয়াখালীর উপকূলজুড়ে সড়কের বিভিন্ন অংশে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গাছ ভেঙে পড়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। মিধিলির বাতাসের প্রভাবে হেলে পড়েছে পাকা আমন ধান। একইসঙ্গে বৃষ্টি হওয়াতে শীতকালীন সবজির ক্ষতির আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহরে মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালীর জেলা শহরের চিকিৎসক সহকারী স্কুলের (ম্যাটস) পাশে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

এছাড়াও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে জমির পাকা ধান হেলে পড়েছে।

রুবেল নামের একজন বলেন, ‘সড়কে গাছ পড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে তার ছেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বিষয়টি আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকে জানিয়েছি। দ্রুত কাজ করলে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাব।’ 

সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের কৃষক সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কয়েক দিনের ভিতরে ধান ঘরে তুলতাম। হঠাৎ ঝড় আসায় বাতাসে ধানের গাছে হেলে পড়েছে। এতে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে।’ 

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে থাকা শীতকালীন সবজিরও ক্ষতি হতে পারে। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ো বাতাস হয়েছে। এতে গাছপালা সড়কের উপরে ভেঙে পড়ে। বিদ্যুৎ কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে পারছে না। গাছপালা সরিয়ে সেসব স্থানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, যেসব স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর তালিকা সংগ্রহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পেলে জানানো হবে।