গাজীপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ মামলার নামীয় সকল আসামিদের তিন মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি জয়দেবপুর থানা পুলিশ। তবে মামলার প্রধান সাক্ষী মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিলন (৪৫) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সরোজামারু গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গাজীপুরের মনিপুর এলাকার মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মিলনের স্ত্রী নুরনাহার বলেন, ‘এ মামলার সাক্ষী হওয়ার পর থেকে আমার স্বামীকে বিভিন্ন ভয়-ভীতিসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে আসামিপক্ষের লোকজন। এ সব বিষয় স্থানীয়সহ প্রশাসনের লোকজনকে জানালেও তারা কেউ সহযোগিতা করেননি। বরং আমার স্বামী আসামিদের ভয়ে ছিলেন। গত দুই দিন ধরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফোন দিয়ে আমার স্বামীকে দেখা করতে বলেন। পরে শুক্রবার সকালে থানায় দেখা করতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাক্ষী হওয়া গণধর্ষণের মামলায় আসামি করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।’
এ ঘটনার পর থেকে মামলার অন্য সাক্ষীরা ভয়ে আছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা আদালতে সাক্ষী মিলনকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে জবানবন্দি দিয়েছেন। যার কারণে তাকে আসামি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, গত ২৫ আগস্ট গাজীপুর সদর উপজেলায় প্রতিবন্ধী নারী গণধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের আদালতে পাঠালে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তারা মামলার প্রধান সাক্ষী মিলন তাদের সহযোগিতা করেন বলে স্বীকারোক্তি দেন।
সদর উপজেলার মনিপুরে গজারি বনে বন্ধুকে গাছে বেঁধে রেখে শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী পোশাক শ্রমিককে (২৪) গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ছয় জনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গাজীপুর সদর উপজেলা মহিলা নেত্রীর ছেলেসহ দুই আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।