সারা বাংলা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে কলাচাষির স্বপ্ন চুরমার

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো. জালাল ফকির চার একর জমির কলাবাগান ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি অন্যের কাছ থেকে বর্গা নিয়েছিলেন সেসব জমি। বাগানে ৫ হাজার কলাগাছের চারা রোপণ করেছিলেন। ৮০ ভাগ গাছে ফলও ধরেছিল। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দিনভর অবিরাম বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র তাণ্ডবে ক্ষেতের ১ হাজার ৩০০ কলাগাছ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। এতে ওই কৃষক পথে বসেছেন। একদিকে ব্যাংকের ঋণ, অন্যদিকে কলা আবাদের খরচ নিয়ে এখন বিপাকে পরেছেন ওই কৃষক।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জালাল ফকির বলেন, এবছর বৈশাখে কলা গাছের চারা রোপন করেছিলাম ক্ষেতে। পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ ও চারা কিনে লাগাতে প্রায় ৮লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বন্যায় কলাসহ ১৩শ কলাগাছ ভেঙে গেছে। লাভের আশা এখন দুরাশায় পরিণত হয়েছে। দুশ্চিন্তায় ওই কৃষকের নাওয়া খাওয়া বন্ধ। এতে ৬লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষক জালালের। 

দক্ষিণ চেঁচরী হারেচিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাকির হোসাইন বলেন, জালাল ফকির একজন ভালো কৃষক। জমি লিজ নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ এনে লাভের আশায় কলার চাষ করেন। বন্যায় কলাগাছ ভেঙ্গে যাওয়ায় কৃষক জালাল এখন কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে। তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই।

কাঠালিয়ায় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান বিন ইসলাম বলেন, উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমির কলাবাগান, ৭০০ হেক্টর জমির খেশারী, ৫০০ হেক্টর জমির উপশী আমন, ২০০ হেক্টর দুধ কলম এবং ৫০০ হেক্টর জমির শাক-সবজি মিধিলি’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষক জালাল ফকিরসহ ক্ষতিগ্রস্ত অন্য কৃষকদেরকে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হবে।