সারা বাংলা

বাবার আসনে নৌকার প্রার্থী হতে চান তিন ভাই

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদের তিন ছেলে। তারা হলেন- নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফাজ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আফাজ উদ্দিন হেরে যান। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এরপর থেকে তার ছেলেরা আলাদাভাবে রাজনীতি করেন।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থিতার জন্য আফাজ উদ্দিন আহমেদের তিন ছেলেসহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মোট ১৪ জন।

তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা গ্রামের প্রয়াত সাংবাদিক নাহারুল ইসলাম মন্টুর বড় ছেলে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস, তার মেজো ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ বিশ্বাস, বড় ভাই নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন রিমন, কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেওয়ান মাসুদ করিম মিঠু,  আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য ড. মোফাজ্জেল হক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান রাকিব, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদিকুজ্জামান খান সুমন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল আসকার হাসু, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনছার আলী খান এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিক আল মামুন।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া-১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৬ জন। এর মধ্যে, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৩ জন আর মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৩ জন।