নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এমপি মোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের (তমা মানিক) অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় উভয়পক্ষ। এ ঘটনায় একজন সাংবাদিক ও পুলিশের একজন এএসআইসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সেনবাগ উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের এক অনুসারীর সঙ্গে সেনবাগ সরকারি কলেজে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক অনুসারীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ গেইট এলাকায় তমা মানিকের এক অনুসারীকে মারধর করে এমপির অনুসারীরা।
ওই ঘটনার জের ধরে পুনরায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে উভয়পক্ষ দলবল নিয়ে উপজেলা সদরের সেনবাগ বাজারে উঠলে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। উভয়পক্ষকে থামাতে গিয়ে সেনবাগ থানার এএসআই মো. কাউছার ইটের আঘাতে আহত হন। একই সময় ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন আরটিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী। তারা দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুল আলম রাজিব জানান, দুজনেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী। তাদের সমর্থকেরা অনেকদিন পর মিছিল করতে বাজারে জড়ো হন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে হালকা উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় কয়েকটি ফটকার বিস্ফোরণ ঘটে। দুইপক্ষকে থামাতে গিয়ে সামান্য আঘাত পান পুলিশের এএসআই কাউছার। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, তিনি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়ার পর গোটা নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসব দেখা দেয়। এতে হতাশ হয়ে এমপি মোরশেদ আলম তার অনুসারীদের দিয়ে এলাকায় বোমাবাজি ও সংঘাত সৃষ্টি করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তারা তার একজন কর্মীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মোরশেদ আলম বলেন, তিনি তার অনুসারীদের বলে দিয়েছেন শান্ত থাকার জন্য। তারা কোন ধরনের মারামারি কিংবা ঝামেলায় জড়িত নয়।