ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি) বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় সংগঠনটির দলীয় টেন্টে এক আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম মোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এইচএম আরাফাত, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ বসুনিয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুকিতুল হাসান তরঙ্গ। এছাড়াও সদস্য মোতালেব মিয়া, রাশেদ খান, পংকজ রায়, ইমরান হোসেন প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, শিক্ষার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হল ও সিট বাণিজ্যকারী সব অপশক্তিকে রুখে দিতে আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবো। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের ন্যায্য মোলিক দাবিগুণো সঠিকভাবে পায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একডেমিক হয়রানি, সিটের হয়রানি, খাবারের সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমরা সময়ে সময়ে কাজ করে আসছি এবং এখনও করে যাচ্ছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের আন্দোলনের সুফল ইতোমধ্যে আপনার দেখতে পেয়েছেন।
সহ-সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম মোরশেদ বলেন, প্রতিষ্ঠার পর ছাত্রদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্র মৈত্রী। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের অনেক ভাই জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। তাদেরই প্রেরণায় আজ আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সংগঠন কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতেও স্বাধীন প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে বাম সংগঠনগুলো কাজ করে যাচ্ছে ও ভবিষ্যতেও করে যাবে।