খেলাধুলা

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখতে তামিমের অনুরোধ

নতুন বছরের জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নিজেকে না রাখার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেছেন। রোববার এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা তামিম বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরবেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার ব্যাটিং শুরু করার কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তামিম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক আগে। তার ফিটনেস এবং শরীর টেস্ট খেলার মতো অবস্থায় নেই। ওয়ানডে ক্রিকেট ছিল তার একমাত্র গুরুত্বের জায়গা। কিন্তু সেখান থেকেও তামিম অনেক দূরে। শোনা যাচ্ছে, তার নিজের আগ্রহ কম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার।

সেই পথে পা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিসিবিকে। জালাল ইউনুস রোববার গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘তামিমের ব্যাপারটা হচ্ছে কি, তামিম আগেও আমাদের সঙ্গে আলাপ করেছে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। তামিম নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছিল, প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে কথা বলেছে, আমার সঙ্গেও কথা বলেছে। আপনারা জানেন যে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে বসার কথা আছে আগামী মাসে। প্রধানত নির্বাচনের পরে। সে চাচ্ছিল তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে। তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী, সামনের দিনে কীভাবে এগিয়ে যাবে। তার নিজস্ব একটা পরিকল্পনা আছে, তার আগে যেন আমরা তাকে চুক্তিতে না রাখি। সে চেয়েছে এখন না রাখতে, পরে বসার পর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে সে তখন আমাদের জানাবে যে সে কি করতে যাচ্ছে।’

কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত এমনটাও জানালেন জালাল ইউনুস, ‘নির্বাচকরা এরই মধ্যে এটা নিয়ে বসেছিল। আমার সঙ্গেও মিটিং হয়েছে। পরে এটা নিয়ে বোর্ডে আলাপ আলোচনা হবে। ড্রাফট একটা করা হয়েছে। আশা করছি, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত করব যেটা বোর্ডের কাছে দিব। এর আগে বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে দিতে হবে উনি একটু দেখবেন।’

গতবার ২১ ক্রিকেটারকে নিয়ে ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছিল বিসিবি। তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা করে চুক্তি করেছিল। যেখানে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছিলেন জাকির হাসান ও হাসান মাহমুদ। এবার তারাও থাকবেন চুক্তিতে। প্রথমবার তাওহীদ হৃদয় কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকতে যাচ্ছেন।

গতবারের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা তিন সংস্করণ: সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট ও ওয়ানডে: তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি: নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান।

টেস্ট: মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও জাকির হাসান।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি: আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। 

ওয়ানডে: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

টি-টোয়েন্টি: নাসুম আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী ও হাসান মাহমুদ।

বাদ পড়েছেন: ইয়াসির আলী, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।