সারা বাংলা

শেরপুরে ৩ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার

শেরপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলামের পক্ষে ভোট চাওয়া ও নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এদের মধ্যে তিনজন শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। একজন পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা। 

এদিকে, একসঙ্গে তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বহিষ্কার আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বহিষ্কারকৃতরা হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও তাতিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, জেলা বিএনপির সদস্য ও কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন, ভেলুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম এবং শেরপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন সেলু।

শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন দুলাল বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল অনেক বড়। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন জেলে। আর এই নেতারা দলীয় পদ পদবী বহন করেও শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলামের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাজ করছেন বিধায় কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই আদেশ অন্যান্য নেতাকর্মীদের শিক্ষার অংশ হয়ে থাকবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে তাতিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ বলেন, আমাকে আর কতোবার বহিষ্কার করবে? এর আগেও তো আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, আমাদের জেলা বিএনপির সভাপতিও এর আগে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। তখন কোনো দোষ হয় না? এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও তিনি জানান। এছাড়াও ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

চার নেতাকে বহিষ্কার আদেশের বিষয়ে জেলা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।