সারা বাংলা

হিলিতে আলুর হাট জমজমাট, ডাক না থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

দিনাজপুরের হিলির খট্রা-মাধবপাড়ায় জমে উঠেছে আলুর হাট। প্রতিদিন ২০০০ থেকে ২২০০ মণ আইগর আলু আমদানি হয়ে থাকে এই হাটে। এই হাটে সরকারি ডাক না থাকার ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।

হিলির সীমান্ত ঘেঁষে উপজেলার ২নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নের মাধবপাড়া গ্রামের পাকা সড়কে বিগত কয়েক বছর যাবৎ আইগর আলু মৌসুমে  এখানে বসে আলুর হাট। সকাল থেকে কৃষকরা তাদের জমি থেকে তোলা আলু হাটে আমদানি করে, দুপুর পর্যন্ত হয় তা বেচাবিক্রি।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসে পাইকাররা এই আলুর হাটে। দুপুরের পর থেকে বস্তা করে তারা ট্রাক লোড করে নিয়ে যায় নিজ এলাকায়। এই হাটে প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ১৬০০ বস্তা আলু ক্রয় করেন পাইকাররা। বর্তমান ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা মণ হিসেবে কিনছেন তারা। প্রতি কেজি দর পড়ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা ।

আলুচাষী মোজাফফর হোসেন বলেন, প্রতি বছর ভালো দাম পাবার আশায় আইগর আলু চাষ করি। এবারও দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। দেড় বিঘা জমির আলু তোলা হয়েছে। দামও অনেক ভালো পেয়েছি। তবে এখানে মণ প্রতি ৭ টাকা খাজনা দিয়ে আসছি।

নাটোর থেকে আসা পাইকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, তুলনামূলক এই হাটে খাজনা অনেকটা কম দিতে হয়, বস্তাপ্রতি ১০ টাকা দিচ্ছি। আজ ২৩০ বস্তা আলু কিনেছি। ট্রাক লোড দিয়ে নিয়ে যাবো।

আড়তদার খোকন বলেন, বিরামপুর উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন পলি অঞ্চল থেকে কৃষকরা আমাদের এই হাটে আলু নিয়ে আসে। প্রতি বছর এখানে আইগর আলুর হাট বসে। পাইকাররা এখানে অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে। আমরা ব্যবসায়ীর নিকট বস্তা ১০ টাকা আর কৃষকদের নিকট থেকে মণে ৭ টাকা আদায় করি। 

এ বিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে আলুর হাটটি দেখেছি, অনেক আলু এই হাটে আমদানি হয়। তবে এখান থেকে সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো।