বগুড়ায় নাজমুল হক (৩০) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজেকে পুুলিশের এসআই বলে পরিচয় দিতেন তিনি। এই পরিচয়ে তিনি বহু নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। নাজমুলকে গ্রেপ্তারের পর পুুলিশ তার ৯টি বিয়ের তথ্য পেয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন নাজমুল। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রতারক নাজমুল পাবনার সাথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সূত্র বলছে, নাজমুল হক মানুষের বিশ্বাস অর্জনে আইডি কার্ড, পুলিশের পোশাক-জুতা ও ওয়াকিটকিও কিনেছেন। পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে তিনি নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেন। এরপর প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। চাহিদা মতো টাকা পাওয়ার পর পালিয়ে যেতেন নাজমুল। এইভাবে এসআই পরিচয়ে ৯টি বিয়ে করেছেন তিনি। এর মধ্যে নিজ জেলা পাবনায় ৫টি ও শিবগঞ্জের মোকামতলা ইউনিয়নে ৪টি বিয়ে করেন নাজমুল।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, গত সোমবার সকালে দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে যান নাজমুল। সেসময় নিজেকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি মঞ্জু শেখের কাছে মোবাইল ফোনে ১০ হাজার টাকা ধার চান। সন্দেহ হলে মঞ্জু শেখের স্ত্রী মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। পরে কৌশলে মঞ্জু শেখের বাড়িতে নাজমুলকে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পরিহিত অসংখ্য ছবি পাওয়া গেছে। মূলত প্রতারণাই তার একমাত্র পেশা। এই ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি প্রতারণা করতেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার ৯টি বিয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। দেউলি ইউনিয়নের সদস্য মঞ্জু শেখ গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রতারণার মামলায় নাজমুলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।