খেলাধুলা

উইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়ে কাঁদলেন লারা-হুপার

গাব্বা টেস্ট জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। আর মাত্র ৮টি রান হলেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতো স্বাগতিকরা। কিন্তু আহত বাঘ শামার জোসেফের বিধ্বংসী বোলিং অস্ট্রেলিয়াকে সেই গন্তব্য ছুঁতে দেয়নি। ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে শামার ঝড়ে ২০৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় অজিরা। ৮ রানের অবিশ্বাস্য, ঐতিহাসিক এক জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে ফেরায় সমতা।

যারা প্রথম টেস্টে তিনদিনেই ১০ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছিল, তারাই কিনা এক তরুণ তুর্কির অসাধারণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২৭ বছর পর অবিশ্বাস্য এক জয় পেল। এমন জয় আবেগাপ্লুত করেছে অনেককেই। সেই তালিকায় আছেন কিংবদন্তি ব্রায়ন লারা ও সাবেক অধিনায়ক কার্ল হুপার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন জয় পায় তখন ধারাভাষ্য কক্ষে ছিলেন লারা। তিনি ধারাভাষ্য দিতে দিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এক সময় কেঁদে ফেলেন। সে সময় তার পাশে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তিনি আবেগাপ্লুত লারাকে জড়িয়ে ধরেন। অস্ট্রেলিয়া হারলেও এমন জয় দারুণ আনন্দিত করেছে সাবেক এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকেও। তার চোখ-মুখে ছিল হাসির ঝিলিক।

জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় লারা ধারাভাষ্যে বলছিলেন, ‘এটি একটি অবিশ্বাস্য জয়। অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে আমাদের ২৭ বছর লেগেছে। এই তরুণ ও অনভিজ্ঞ দল তা করে দেখিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আজ শক্তিশালী। আজ আমাদের জন্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় দিন। এই দলের প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’

শুধু লারা নন, উইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক কার্ল হুপারও আবেগে কেঁদে ফেলেন। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৯৭ সালে তাদের সবশেষ টেস্ট জয়ের দলে ছিলেন তিনি। তার কান্নার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সেখানে দেখা যায় জয় নিশ্চিত হওয়ার পর মাথায় হাত দিয়ে, দরজায় মুখ লুকিয়ে কাঁদতে থাকেন হুপার। এরপর সেখান থেকে সরে এসে চোখ মুছতে থাকেন। আবার মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু স্থির হতে পারছিলেন না। তার চেহারায়, চোখে-মুখে তখনও স্পষ্ট কান্নার ছাপ। মুখে বিড়বিড় করে যেন কি বলছিলেন।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে, তাদের মাঠেই এমন এক বহুল প্রার্থিত জয়ের পর এমন কান্না, এমন পাগলপ্রায় আচরণই তো স্বাভাবিক। তাই নয় কি?