সারা বাংলা

আমবয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমা, মুসল্লিতে পূর্ণ ময়দান

রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। মুসল্লিদের ঢল নেমেছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। ইতোমধ্যে ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এসেছেন।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক।এর মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের প্রথম পর্ব। এটি আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ময়দানে ৯১টি খিত্তায় জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় হাজারো মুসল্লি রাস্তার পাশে জায়গা নিয়েছেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুরো ময়দানে প্রায় ৩০০ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে।  ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে ।

প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলার পাশাপাশি উর্দু ও হিন্দি ভাষায় বয়ান করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা তরজমাও উপস্থাপন করা হচ্ছে।

ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সৌদি আরব, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এক হাজারেরও অধিক মুসুল্লি এসেছেন। ইজতেমায় আগত এসব বিদেশি মুসল্লিরা বাংলাদেশের আয়োজনে খুশি। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আগত মুসুল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক পদক্ষেপ। কয়েক হাজার পুলিশ, সাদা পোশাক পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আকাশপথে হেলিকপ্টার টহল, ডগ স্কোয়াড টিম, ফুট প্যাট্রলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, নৌ টহল, সাইবার মনিটরিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মুসুল্লিদের নিরবচ্ছিন্ন বিদুৎ, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টয়লেট। সিটি করপোরেশন থেকে মশা নিরাবরণের প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, রয়েছে সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক। মুসুল্লিদের সহজে পারাপারের জন্য তুরাগ ন‌দের ওপর বিআইড‌ব্লিউটিএ ও সেনাবা‌হিনী তৈ‌রি ক‌রে‌ছে ৬‌টি ভাসমান সেতু।

বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এ পর্বের নেতৃত্ব দেবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ২০১৮ সালের বিরোধের পর দুই পক্ষ ২০১৯ ও ২০২০ সালে আলাদা ইজতেমা করে। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল এই জমায়েত।