সাক্ষাৎকার

পঞ্চাশ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখছি: আফরোজা পারভীন

আফরোজা পারভীন কথাসাহিত্যিক, গবেষক, শিশুসাহিত্যিক, নাট্যকার এবং কলাম লেখক। মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট তাকে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সবমিলিয়ে তিনি ১২৫টির অধিক বই লিখেছেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। সম্প্রতি  কথা হলো এই গবেষকের সঙ্গে।

স্বরলিপি: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তি, এবং প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ-এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি জানতে চাই। আফরোজা পারভীন: আপনাকে ধন্যবাদ। কিশোরকাল থেকে লিখছি। এখন জীবন সায়াহ্নে। পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা ছাপা হয়। বইও প্রকাশ হয় প্রতি বছর। পাঠকের প্রতিক্রিয়া প্রতিনিয়ত পাই।  বহুদিন আগে লেখা গল্প উপন্যাস গবেষণা নিয়ে পাঠক কথা বলেন।  এই স্বীকৃতিগুলোই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার। পাঠকই একজন লেখকের সম্পদ। রাষ্ট্রীয় রোকেয়া পদক, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কারসহ ৩০টির বেশি দেশি-বিদেশি পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছিলাম না।  পাঠকেরা, প্রিয়জনেরা জানতে চাইতেন, কেন পুরস্কার পাচ্ছি না। কিছুটা অতৃপ্তি ছিল।  সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিস্তর কাজ করেছি।  লেখার জন্য প্রচুর  পরিশ্রম করি, একনিষ্ঠভাবে  লেগে আছি এতগুলো বছর। লেখা আমার সাধনা। পুরস্কার না পেলে যে জীবন ব্যর্থ হয়ে যায় এমন নয়।  লেখককে বাঁচিয়ে রাখে পাঠককূল, পুরস্কার নয়। তারপরও বাংলা একাডেমি  পুরস্কার লেখক স্বীকৃতি। স্বীকৃতি  পেলে সবার ভালো লাগে। দেরিতে হলেও পেলাম।  খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে এতদিনে আমার  লেখার মূল্যায়ন করল বাংলা একাডেমি। দায়িত্বও বেড়ে গেল।  দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকার অঙ্গীকার করলাম মনে মনে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেয়া এই প্রথম না।  আগেও রাষ্ট্রীয় বেগম রোকেয়া পদক ও আমার ভাই শহিদ এসবিএম মিজানুর রহমানকে দেয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়েছি। ওনার মতো বিশাল মাপের মানুষের কাছ থেকে পুরস্কার নেয়া অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার! উনি তো শুধু সরকার প্রধান নন, জাতির পিতার কন্যা। নিজেও একজন লেখক। কাজেই আমি আপ্লুত! 

স্বরলিপি: আপনার লেখায় দৃশ্যপট এবং চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে কীভাবে?  আফরোজা পারভীন: আমি যা দেখি সেটা গভীরভাবে দেখি, নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। অন্তরদেশ পর্যন্ত দেখার চেষ্টা করি। চারপাশের দৃশ্য, ঘটনাবলী  আর মানুষই সাধারণত আমার লেখার উপজীব্য। অবশ্য সেটা ক্ষেত্রবিশেষে বদলায়। আমি চেষ্টা করি মানুষকে মানুষ রূপেই দেখাতে, অতিমানব বা অতিদানব নয়। আরোপিত আর অবাস্তব কোনকিছু আমার অপছন্দ। সচেষ্ট থাকি কৃত্রিমতা এড়াতে।  গভীর পর্যবেক্ষণ, ভাবনা, চিন্তা ও বিবেচনাবোধ প্রয়োগ করি। ঘটনা আর দৃশ্যাবলীতেও মূলের কাছে থাকার চেষ্টা করি। কিছুটা কল্পনা তো থাকেই। মানুষ যেন লেখায় নিজেকেই দেখতে পায়, তার চারপাশ দেখতে পায়, দেখতে পায় চেনা সবকিছু  সে লক্ষ্য থাকে।  হয়ত সে কারণেই। 

স্বরলিপি: ১২৫টির অধিক বই লিখেছেন, কীভাবে সম্ভব হলো? আফরোজা পারভীন: অসম্ভব কিছুই নয়। আমি লিখতে পারি। বসলেই লেখা হয়। ল্যাপটপে লিখি, লেখার গতি অনেক। তবে সেই লেখার পেছনে  দীর্ঘ প্রস্তুতি, চিন্তা ভাবনা থাকে। যখন লিখি চারপাশ বিস্মৃত হই, লেখায় ডুবে যাই। সংসার সন্তান পরিবার সমাজ পেশা সামলে আমাকে লিখতে হয়েছে। ছাত্রজীবনেই বিয়ে আর সন্তান হয়েছে। নাট্যচর্চা করেছি, গ্রুপ থিয়েটার করতাম। রান্না করেছি। অকালেই স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। একা একা বাচ্চাদের মানুষ করেছি। সবটাই সুচারুভাবে  করেছি। পেরেছি কারণ প্রায়োরিটি ঠিক করে নিয়েছি। কোনটা আগে করব কোনটা পরে সেটা আগেই ছক কষে নিয়েছি। কোনটাইকেই অবহেলা করিনি। আসলে গুছিয়ে চিন্তা ভাবনা করে কাজ করলে সবই সম্ভব। এখনও আমার অনেক অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি আছে, এখনও লিখছি। বেঁচে থাকলে শেষদিন পর্যন্ত লিখব আর সবই সামলাবো। 

স্বরলিপি: পরিচিত বিষয়কে মৌলিক লেখায় রূপান্তর করার জন্য কী করেন? আফরোজা পারভীন: আপনার এ প্রশ্নটি ২নং প্রশ্নের সমার্থক। পরিচিত বিষয়ই প্রধানত অধিকাংশ লেখকের লেখায় গল্প উপন্যাস হিসেবে ধরা দেয়। তার সাথে কল্পনার মিশেল থাকে। কিন্তু সেই পরিচিত বিষয়গুলিকে লেখায় ধরতে হলে  দেখার মন আর চোখ থাকা দরকার । দরকার লেখার জোরালো কলম। আমার কলম  জোরালো কিনা জানি না, পাঠক জানেন। তবে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করি সত্য বলতে, লিখতে। চেষ্টা করি  অযথা লম্বা বাক্য, অপ্রচলিত আর জটিল শব্দ পরিহার করতে । মানুষ যেভাবে  হাসে-কাঁদে-কথা বলে সেটাই তুলে ধরতে। অর্থাৎ বাস্তবতার কাছে পৌঁছাতে। 

স্বরলিপি: মুক্তিযুদ্ধ আপনাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে, এর কারণ কী? আফরোজা পারভীন: এর কারণ অনেক। মুক্তিযুদ্ধ আমার জীবনে এক ওলোট পালট করা অধ্যায়। এই অল্প পরিসরে কী বলব! শুধু যুদ্ধকাল নয়, যুদ্ধের পরও যুদ্ধকে সাথে নিয়ে চলছি আমি, আমার পরিবার। আমৃত্যু চলব।  আমার জন্মস্থান নড়াইল শহর। আমি তখন কিশোরি। আব্বা মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হওয়ায় আমাদের বাড়ি প্রথমে লুট তারপর পেট্রল দিয়ে জ¦ালিয়ে দিয়েছিল। আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে শরণার্থী হয়েছিলাম। বার বার গ্রাম বদলাতাম। মা আমাকে লুকিয়ে রাখতেন।  প্রথম যে বাড়িটিতে আমরা ছিলাম সেটা ছিল মাটির। একটা পরিত্যক্ত বাড়ি। চারপাশে ঝোপঝাড়। প্রচুর কাকরোল ঝোপ ছিল। সে বাড়িতে অজস্র সাপ গিজ গিজ করত । যখন তখন মেঝেতে সাপ হেঁটে যেত। ঝোপঝাড় সাপে বোঝাই ছিল। আমরা সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতাম। আমার বড়বোন যশোর থেকে আসার সময় তার বিয়েতে পাওয়া গহনাগুলো কোমরে বেধে নিয়ে এসেছিল। মাটি খুঁড়ে গর্ত করে সে গহনা লুকিয়ে রেখেছিল। একদিন দেখাগুলো সমস্ত গহনা চুরি হয়ে গেছে। আমরা বেঁচে ছিলাম গ্রামের মানুষের দেওয়া খাবার খেয়ে, তাদের দয়ায়। কাকরোল ঝোঁপে অজস্র কাকরোল ছিল। সে কাকরোল সিদ্ধ করে আমরা খেতাম। এখন মনে হয় বিধাতা যেন আমাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য চারপাশে অত কাকরোল ফলিয়েছিলেন! এক সময় অবশ্য সে কাকরোলও ফুরিয়ে যায়।  যুদ্ধের মাঝে আমার বড়বোনের বাচ্চা হয় নড়াইলে, আমাদের পোড়াবাড়িতে। সে বাড়িটি তখন শান্তিকমিটির চেয়ারম্যানের দখলে । আমাদের দয়া করে থাকার জন্য একটা ঘর দেয়া হয়েছিল। সে ঘরে আপার একটা ছেলে হয়।  অনেক কান্নাকাটি করে এক খালুকে রাজি করিয়ে গ্রাম থেকে আমি বাড়িতে যাই সদ্যজাত শিশুটিকে দেখতে। সে রাতেই বাড়িতে পাকিস্তানি আর্মি আসে। আমি  পোড়া জানালা দিয়ে লাফিয়ে দূরে একটা কচুঝোপে আশ্রয় নিই। শেষরাতে আমার মা কুপি হাতে সেখানে গিয়ে আমাকে টেনে তোলে। আমার সমস্ত পায়ে কামড়ে ছিল অজস্র জোঁক আর পঁচা কাদা। মা টেনে টেনে সেগুলো তুলে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে গোসল করায়। জোঁকের মুখে দেয়ার মতো লবণও আমাদের ছিল না।  আমার বড়ভাই শহিদ হন পিরোজপুরে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। তাকে পাকিস্তানিরা জিপের চাকায় বেধে পুরো শহর ঘুরিয়ে বলেশ্বর নদীর তীরে দাঁড় করিয়ে বলে, বল পাকিস্তান জিন্দাবাদ। দাদা সর্বশক্তি দিয়ে বলেন, ‘জয়বাংলা’। বুলেটে বুলেটে তাকে ঝাঁঝরা করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় নদীতে। তার মৃতদেহ আমরা পাইনি। -এমন অজস্র ঘটনা আছে জীবন জুড়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় বেঁচে থাকার, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। তাই যুদ্ধ আমাদের জীবনব্যাপী।  কাজেই যুদ্ধ আমার লেখায় প্রভাব ফেলবেই। 

স্বরলিপি: ২০২৩ এ অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার অর্জন একই বছরে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তি। অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার কী বাংলা একাডেমিকে মনে করিয়ে দিল আপনাকে এই সম্মাননা দেওয়ার কথা? কী মনে হয়?  আফরোজা পারভীন: আমি কেন? এ জবাব তো দেবে বাংলা একাডেমি! অনন্যা পাবার আগেই আমি রাষ্ট্রীয় বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছি। পদক দেখে পুরস্কার দেবার কথা ভাবলে একাডেমি তখনই দিতে পারত। পঞ্চাশ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখছি। এমন নয় যে, এ বছর লিখলাম, ভালো লাগলো না ছেড়ে দিলাম আবার লিখলাম। সময়টা কী দীর্ঘ নয়?  তাছাড়া আমি পুরস্কার পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণায়। আমার কাজ না থাকলে কী এই পুরস্কার দিতে পারত?  গত কয়েক বছর ধরেই শুনছি, আমি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছি। বছর দুয়েক আগে শুনেছিলাম নাম চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনেকে আমাকে অভিনন্দনও জানিয়েছিল। পরে দেখলাম সে পুরস্কার অন্য একজন পেয়ে  গেল। তখন সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল! তবে হ্যাঁ, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার নারী লেখকদের জন্য অনেক বড়, মানসম্মত এবং নিরপেক্ষ একটি পুরস্কার। অতীতে যারা অনন্যা পেয়েছেন তারা প্রায় সবাই বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। 

স্বরলিপি: আপনিতো ভাষা সৈনিকদের নিয়েও কাজ করেছেন, অভিজ্ঞতা জানতে চাই।  আফরোজা পারভীন: আমি একজন ভাষাসৈনিকের কন্যা। আমার আব্বা প্রয়াত  আফসার উদ্দিন আহমেদ এডভোকেট একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক। তিনি নড়াইল মহকুমা সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জেলও খেটেছিলেন। আমার বড়বোন কে এফ সুফিয়া বেগম বুলবুল এবং বড় ভাই মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শহিদ এস বি এম মিজানুর রহমানও ভাষাসৈনিক। মুক্তিযুদ্ধের মতোই ভাষা আন্দোলন আমার গর্বের বিষয়। ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রচুর গল্প লিখেছি। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় বিভিণ্ন গ্রন্থে ভাষা সৈনিকদের বিষয়ে আলোকপাত করেছি। একটি আলাদা গ্রন্থ “ভাষা আন্দোলনে নারী” লিখেছি নারী ভাষাসৈনিকদের নিয়ে । তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজনই জীবিত আছেন। তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। অনেকে এতটাই বৃদ্ধ এবং ভগ্ন স্বাস্থ্যের যে কথা বলতেই তাঁদের কষ্ট হয়েছে। তারপরও তারা সহযোগিতা করেছেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পড়েছি। ভাষাসৈনিকদের চেনা জানা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। সমস্যা হচ্ছে ঢাকার বাইরের ভাষাসৈনিকদের ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য নেই। এলাকায় গিয়ে খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়েছে। এখনও হয়ত কারো কারো কথা আমরা জানি না। তবে ভবিষ্যত গবেষকেরা বইটি দিয়ে উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস। কাজটা করতে সময় লেগেছে। বইটা প্রকাশ করে অসামান্য আনন্দ পেয়েছি। মনে হয়েছে দেশ ও অমর ভাষাসৈনিকদের প্রতি একটা বড় দায়িত্ব পালন করলাম।

স্বরলিপি: একজন তরুন লেখক ভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে মৌলিক কাজের জায়গা খুঁজে নিতে পারেন কীভাবে, আপনার পরামর্শ জানতে চাই। ধন্যবাদ। আফরোজা পারভীন: আমি মনে করি সবার আগে প্রচুর পড়তে হবে। লেখা একদিনে হয় না। লেখার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় । পড়তে পড়তে একজন  লেখক নিজেই বুঝতে পারেন, ঠিক কোন জায়গাটাতে তিনি কাজ করবেন। যিনি ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে কাজ করতে চান তাকে এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে।  গল্প উপন্যাস গবেষণাগ্রন্থ প্রবন্ধ নিবন্ধ সবই পড়বেন তিনি। ভাষা সৈনিকদের, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলবেন। তবেই তিনি বুঝবেন,  কোন বিষয়ে লিখবেন, কী লিখবেন। গল্প লিখবেন , কবিতা নাকি গবেষণা। কোনটার যোগ্য তিনি। তারপর আছে ধরে রাখা, লেগে থাকার বিষয়। লেখা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া । একটা লেখা লিখলাম, প্রকাশ হলো, আহ্লাদিত হলাম, ছেড়ে দিলাম, তাহলে হবে না। অথবা লিখছি, পত্রিকায় পাঠাচ্ছি ছাপা হচ্ছে না, হতাশ হয়ে ছেড়ে দিলাম সেটাও হবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। ভাবতে হবে এ ছাড়া আমার একেবারে কিছু নেই। তবেই হবে লেখা। 

স্বরলিপি: ধন্যবাদ আপনাকে। আফরোজা পারভীন: আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ।