সারা বাংলা

মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের ৫ জনকে মারধরের অভিযোগ

শ্রেণিকক্ষে দুষ্টুমি করায় ১২ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে গেলে দরজা বন্ধ করে রুমের ভেতর আটকিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের আরও ৪ সদস্যকে শিক্ষকের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। মামলা হলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল রোববার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ হাফেজিয়া মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে জানতে মাদরাসাটিতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।  আবির মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকার বাসিন্দা জামাল রেজার ছেলে। সে  ডাসার উপজেলার পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ হাফেজিয়া মাদরাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী। 

আহত পরিবারের সদস্যরা হলেন- আবিরের বাবা জামাল রেজা, হাসান মৃধা, নাইম মৃধা এবং জামাল মৃধা। 

ভুক্তভোগী জামাল রেজা বলেন, গতকাল দুুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টুমি করে আবির। এতে ক্ষিপ্ত হন মাদরাসার শিক্ষক ফকির মোক্তারুজ্জামান। পরে দুই শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় আবিরকে মারধর করেন তিনি। ভয়ে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে আবির। বিষয়টি জানতে বিকেলে মাদরাসায় গেলে শিক্ষকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে পরিবারের লোকদের একটি ঘরে আটকে রেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন মাদরাসা শিক্ষক। এলাকাবাসীকে উস্কে দিয়ে পরিবারের চার সদস্যকে মারধর করান ফকির মোক্তারুজ্জামান। পরে জরুরি সেবা নম্বর- ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিক্ষার্থীসহ পরিবারের ৫ জনকে। 

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন,  এই ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।