বিনোদন

‘আমরা পার্টিতে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাই না’

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী তারকা হলেও নিজের মতো সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন। খুব প্রয়োজন না হলে বলিউডের পার্টি থেকে দূরেই থাকেন আমির।

কয়েক বছর আগে কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে আমির খানের। কিরণ রাও পার্টি অপছন্দ করেন। শুধু তাই নয় তাদের পুত্র আজাদেরও পার্টিতে আগ্রহ নেই। ছেলেকে নিয়ে কথা গিয়ে এসব তথ্য জানান কিরণ রাও।   

কিরণ রাও বলেন, ‘আমার মনে হয় শিশুদের নিজস্ব গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত জীবন থাকা উচিত। যে শিশুরা নিজে থেকেই জনসমক্ষে আসতে আগ্রহী, তাদের ক্ষেত্রে এটা ঠিক আছে। তবে আজাদ কখনো কোনো বড় অনুষ্ঠানে যেতে আগ্রহী নয়। তাই আমরা ওকে ওর মতো থাকতে দিই। আমি ও আমির মানুষ হিসেবে খুবই সাধারণ। আমরা কোনো গ্ল্যামারাস মানুষ নই। আমরা বাইরে গিয়ে পার্টি করি না বা কোনো অনুষ্ঠানে সেভাবে যাই না। আমরা আসলে এ ধরনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। রেড কার্পেটেও বিশেষ যাই না। এগুলোতে আমির ততটা আগ্রহী নয় এবং আমিও আগ্রহী নই।’

‘আজাদ সিনেমার চেয়ে অ্যানিমেশনে বেশি আগ্রহী। কারণ ও ভীষণ সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল। শুরুতে আজাদ সিনেমা দেখলে একটু ভয় পেত। কারণ সিনেমা ওর আবেগকে আরো বাড়িয়ে তোলে। ও একটু বেশিই সংবেদনশীল, অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ শিশুর মতো। ও সবকিছুতে খুবই প্রভাবিত হয়, অন্য শিশুরা হয়তো যেগুলো খুব স্বাভাবিক মনে করে। একবার স্টার ওয়ার্সে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর আমাকে ওর (আজাদের) সঙ্গে সিনেমা হল ছেড়ে বের হয়ে আসতে হয়েছিল। কারণ আজাদের প্রশ্ন ছিল, ‘পাইলটের কী হয়েছে?’ ওর লাইভ-অ্যাকশন দেখতে খুব কষ্ট হয়। তবে এখন ওর বয়স ১২ বছর। আমি নিশ্চিত যে, ও এবার এ ধরনের জিনিস দেখতেও প্রস্তুত।’ বলেন কিরণ রাও।

২০০২ সালে প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় আমির খানের। রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। ২০২১ সালের ৩ জুলাই হঠাৎ করেই কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন আমির। এ দম্পতির পুত্র আজাদ।