সারা বাংলা

হাজারো পর্যটকে মুখরিত কুয়াকাটা, উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা

সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটি উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের এমন আনাগোনায় হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। এদিকে, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে দেশের নানা স্থান থেকে কুয়াকাটা আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই প্রথম এতো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। আগতদের ভিড়ে প্রাণ ফিরেছে শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক ও লেম্বুর বনসহ পর্যটনের সবকটি স্পটে। পর্যটকরা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। অনেক পর্যটককে ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। 

ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে আসা পর্যটক রিয়াদ হোসেন  বলেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। ইচ্ছে ছিল শীতের শুরুতে আসার। কিন্তু, এবার শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় বের হতে পারিনি। সমুদ্রের বুক চিরে জেগে ওঠা চর বিজয়ে আমরা বেড়াতে গেছি। সেখানে অতিথি পাখি এবং লাল কাকড়ার লুকোচুরি আমাদের মুগ্ধ করেছে। 

খুলনা থেকে আসা সাইফুল হোসেন বলেন, কুয়াকাটায় আমি অনেকবার এসেছি। সময় পেলেই এখানে চলে আসি। কুয়াকাটার সৌন্দর্য আমাকে বারবার টানে। কুয়াকাটা সৈকতে রাতের বেলা বাহারি সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ এবং ফ্রাই খুবই সুন্দর এবং মজার। সব মিলিয়ে কুয়াকাটা আমার খুব পছন্দের যায়গা।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) এর সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছেন। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত সৈকত। আজ হোটেলগুলোতে প্রায় শতভাগ রুম বুকিং রয়েছে। দীর্ঘদিন পর এতো পর্যটক আশায় আমরা অনেক আনন্দিত। এভাবে পর্যটকের আগমন ঘটলে আমার পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু বলেন, নির্বাচনের পরে কুয়াকাটায় তেমন পর্যটকের চাপ ছিল না। আজ অনেক পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আমাদের টহল টিম মাঠে রয়েছে। পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে আমরা নজরে রাখছি। প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে আমাদের টিম রয়েছে।