সারা বাংলা

বাগেরহাটে জেএমবি’র ৮ সদস্যের কারাদণ্ড

বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র ৮ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই সঙ্গে ৬ আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আকাশ মোল্লা বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার কাকারবিল এলাকার মো. বেদার মোল্লার ছেলে, মো. কবিরুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লোকমান ফরাজির ছেলে, মিজানুর রহমান পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালি আলম হাওলাদার ওরফে শাহজাহানের ছেলে, মো. জহিরুল ইসলাম রঘুনাথপুর গ্রামের আশরাফুল আলী ফরাজির ছেলে, মো. মাকসুদুর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গড়েরকান্দা গ্রামের মো. জুম্মান আলী সরদারের ছেলে, মো. মোরশেদ আলম সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে, মো. সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইটাগাছা গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে এবং তরিকুল ইসলাম বাগেরহাট সদর উপজেলার নাটাইখালী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

এদের মধ্যে আকাশ মোল্লা, মো. কবিরুল ও মিজানুর রহমানকে ৮ বছর; জহিরুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান ও মো. মোর্শেদ আলমকে ৫ বছর এবং মো. সাইফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলামকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে মো. সাইফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে সরকার বিরোধী নাশকতা সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশ্যে জেলার কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী এলাকার সাফায়েত শেখের বাগানে পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অবস্থান নেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। তখন জেএমবি সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ে এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া করে পুলিশ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পিস্তল, চারটি হাত বোমা, শর্টগানের গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও সংগঠনটির জিহাদি বই জব্দ করে পুলিশ।

পুলিশ তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আইনজীবী মো. শহিদুজ্জামান বলেন, সরকার বিরোধী নাশকতা সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়ার মামলায় সাক্ষ্য, প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী।