খেলাধুলা

সাকিবের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটিতে রংপুরের বড় সংগ্রহ

সিলেট থেকে ফিরে যেন বদলে গেছেন সাকিব আল হাসান। আগের পাঁচ ম্যাচে যেখানে তার রান ছিল চার, পরের চার ম্যাচে সেখানে তার রান এখন  ১৩০।

ঢাকার ফিরতি পর্বে প্রথম ম্যাচে ৩৪ ও পরের ম্যাচে করেছিলেন ২৭। চট্টগ্রামে এসে তিনি হয়ে উঠেছেন আরও মারমুখী। সাগরিকার পাড়ে প্রথম ম্যাচে ঝড় তুলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় করেছিলেন ৬৭ রান। আজ ৩৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬২ রান।

তার ব্যাক টু ব্যাক ফিফটিতে ভর করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে করেছে ১৮৭ রান। জিততে চট্টগ্রামকে করতে হবে ১৮৮ রান।

ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় আউট হন রনি তালুকদার। তিনি ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে যান। এরপর রেজা হেনড্রিকস (৪), ব্রান্ডন কিং (২) ও নুরুল হাসান সোহান আউট হন। রংপুরের দলীয় রান তখন ৪ উইকেটে ৭১।

চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাকিব ততোক্ষণে থিতু হয়ে গেছেন। মাহেদী হাসানকে নিয়ে এরপর চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর চড়াও হন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা দুজন ৩৪ বলে দলীয় সংগ্রহে ৬৮ রান যোগ করেন। ১৩৯ রানের সময় মাহেদী ফিরেন ১৭ বলে ৪ ছক্কায় ৩৪ রানের ঝড় তুলে।

অন্যপ্রান্তে সাকিব তুলে নেন ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি। ৩৩ বলে ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ফিফটি করেন সাকিব। এরপর রোমারিও শেফার্ডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির সামনে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলে যান।

এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারির ১ চার ও ১ ছক্কায় করা ১৭ ও হাসান মাহমুদের ২ বলে ২ চারে করা ৮ রানের ইনিংসে ভর করে রংপুর ১৮৭ রানের সংগ্রহ পায়।

বল হাতে চট্টগ্রামের শেফার্ড ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সালাউদ্দিন সাকিল ৩৮ রানে ২টি ও শহিদুল ইসলাম ৩২ রানে নেন ২টি উইকেট।