সারা বাংলা

খুবি’র ৩ শিক্ষার্থীক মারধরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ, আটক ২

তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেন তারা। এর ফলে খুলনা-সাতক্ষীরা এবং খুলনা মোংলা-মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ হামলাকারী দুই পরিবহন শ্রমিককে আটক করলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, খুবির বাংলা বিভাগের ১৯ ব্যাচের ছাত্র লাবণ্য সরদার নব্য তার মা ও বোনকে নিয়ে পাইকগাছা থেকে খুলনাগামী বাসে ওঠেন। বাসের মধ্যে জায়গা সংকুলন না হওয়ায় নব্য তার একটি পা বাসের প্যাসেজে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসের ৩/৪ জন যাত্রী তার সঙ্গে অশ্লীন ভাষায় কথা বলেন। পরে তাদের বহন করা বাসটি জিরো পয়েন্টে আসলে নব্য বিষয়টি সহপাঠীদের জানান। শিক্ষার্থীরা নব্য’র সঙ্গে খারাপ ব্যবহার যারা করেছেন তাদের ডেকে কারণ জানতে চান। এসময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বাস শ্রমিকরা। এমনকি তাদের বাসে তুলে সোনাডাঙ্গা টার্মিনালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। 

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে যদি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বারবার হামলা হয়, তাহলে আমরা সড়কে চলাচলই করতে পারবো না। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের ওপর যেন হামলা না হয়। যারা হামলা করেছে তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।  

এ ঘটনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন ও খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন। পরে হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করায় অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারের পর খুলনা-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়ক ও খুলনা-মংলা মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার এসি আবু নাসের আল আমিন বলেন, হামলাকারীদের আটক করার খবর দেওয়ার পর ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেন। এই ঘটনায় মামলা হবে।