সারা বাংলা

গাইবান্ধার ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

গাইবান্ধায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী নাহিদ রসুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পযর্ন্ত শহরের ডিবি রোডের নাট্য সংস্থার সামনে গাইবান্ধা সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা শহরের প্রধান সড়ক ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে সড়ক অবরোধ করেন। এতে কিছু সময়ের জন্য সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক যুগান্তর ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল। বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির পলিট বুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জাতীয় শ্রমিক জোটের গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বাবু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন, আইনজীবী সালাউদ্দিন কাশেম, মানবাধিকার কর্মী দিবা বেগম, সাংবাদিক সৈয়দ নুরুল আলম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। 

জেলা প্রশাসকের বদলির দাবি তুলে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধায় যোগদানের পর থেকে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল স্থানীয় সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। নানা প্রশাসনিক কাজে তাঁর কক্ষে দেখা করতে গেলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দর্শনার্থীরা তার নিয়োগকৃত এপিএস (সহকারী কমিশনার) এর কাছে স্লিপের মাধ্যমে সাক্ষাতের কারণ উল্লেখ করতে হয়। স্লিপ পাঠিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষাতের অনুমতি পাওয়া যায় না। সপ্তাহে একদিন গণশুনানি করা বাধ্যতামূলক থাকলেও তিনি যোগদানের পর থেকেই তা অনিয়মিত।

ৎমানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নির্বাচনি তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা করেন। এসব ঘটনায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলকে বদলির দাবি জানিয়ে দেশের প্রথম সারির জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার ২১ জন সাংবাদিক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আবেদন জানান। যা প্রতিবেদন আকারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই দাবিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী, ১১ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিব বরাবর মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের ৪২ নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র পাঠানো হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের সংবাদ প্রচার না করার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, জেলা প্রশাসকের বদলি না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী (সহকারী কমিশনার) ছাদরুল আলম। তিনি বলেন, ‘স্যার গ্রাম পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে এ বিষয়ে আপনি তার বক্তব্য জানতে চেয়েছেন, স্যারকে সেটা বলবো।’