জাতীয়

সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহার হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নৌবাহিনী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর ঘিরে যে বাণিজ্য চলে সেখানে যাতে কোনো দ্বন্দ্ব না হয়। শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবেই যেন অব্যাহত থাকে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহার হবে এটাই চায় বাংলাদেশ।

সমুদ্রসীমা অধিকার নিয়ে ১৯৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কোনো কাজ করেনি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা ব্যবহার করে তা দেশের জন্য কল্যাণে কাজে লাগাতে চায় সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক জায়গায় যুদ্ধ সংঘাত চলছে। তবে বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তেল, গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা চাই তেল, গ্যাসের সঠিক ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য।

বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক যোগাযোগ এবং সমুদ্র অঞ্চলের অর্থনীতির অগ্রগতি নিশ্চিতে উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রণয়ন করেন ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’।