ফটো ফিচার

হাঁটতে পারতেন না, অন্ধকার গ্রাস করেছিল এই অভিনেত্রীর জীবন

খুবই অল্প বয়সে ফরিদ কুরিমকে বিয়ে করেন তানাজ ইরানি। তার বয়স যখন ২০ বছর, তখন কন্যা সন্তানের মা হন। কিন্তু এ সংসার বেশি দিন টেকেনি। বিবাহবিচ্ছেদের পর তানাজ অভিনয়ে পা রাখেন।

২০০৭ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে তানাজের। প্রথম সিনেমা মুক্তির পর শরীরি সৌন্দর্য ও অভিনয় গুণে দর্শকদের নজর কাড়েন। ‘হামারা দিল আপকে পাস হ্যায়’, ‘হাদ কর দি আপনে’, ‘মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়’, ‘৩৬ চায়না টাউন’, ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি’-এর মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন।

 

৫১ বছর বয়সী তানাজকে দেখে তার বয়স আন্দাজ করা কঠিন। কিন্তু ২০২২ সালে খুবই কঠিন সময় পার করেছেন তানাজ। কারণ শারীরিকভাবে অচল হয়ে পড়ায় তার জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কার শুনিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

 

সিদ্ধার্থ কানানকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তানাজ বলেন, আমাদের মধ‍্যে অনেকেরই অভ‍্যাস রয়েছে যে, আমরা আমাদের রোগ, অসুস্থতা, কষ্টকে অনেক সময়ই এড়িয়ে যাই। খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু পরে যখন সমস‍্যা হাতের বাইরে চলে যায়, তখন আফসোস করি।

 

মূলত, পিঠে আঘাত পেয়েছিলেন তানাজ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পিঠে ক্রমাগত খিঁচুনি হতো। দীর্ঘ সময় কাজ করা এবং হিল পরার কারণে এল৪ এবং এল৫ স্লিপ ডিস্কে সমস্যা দেখা দেয়। লাঠি ছাড়া আমি হাঁটতে পারতাম না। খুবই কঠিন পরিস্থিতি ছিল, আমি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম। এমনকী বিষণ্ণতায় ডুবে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেডিটেশন ও ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসি।

 

কঠিন এই জার্নিতে পাশে ছিলেন তার স্বামী, সন্তান ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। তানাজের ভাষায়, তারা সবসময় আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা করতেন। তারা কখনো আমাকে ছেড়ে যাননি।

 

২০০৭ সালে অভিনেতা বখতিয়ার ইরানিকে বিয়ে করেন তানাজ ইরানি। ভালোবেসে ঘর বাঁধেন এই যুগল। তানাজ তার স্বামী বখতিয়ারের চেয়ে ৭ বছরের বড়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে সুখে কাটছে তাদের সংসার। এ দম্পতির একটি পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে।