সারা বাংলা

শ্রীপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধের স্থানে কংক্রিটের পিলার দিলেন গ্রামবাসী

গড়াই নদীর ভাঙনে প্রতিবছর হুমকিতে পড়ছে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দোরান নগর গ্রাম। এই গ্রামের রাস্তা, মন্দির ও বসতবাড়িসহ অনেক কিছুই গত কয়েক বছর ধরে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর ভাঙন থেকে বাড়ি-ঘর বাঁচাতে গেল বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি বেড়িবাধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার সেই বাঁধ যাতে আরও মজবুত হয় সেজন্য গ্রামের বাসিন্দারা শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বেচ্ছাশ্রমে ইট-বালু, সিমেন্ট ও লোহার রড দিয়ে কংক্রিটের ঢালাইয়ের পিলার নির্মাণ করেছেন। 

গড়াই পাড়ের বাসিন্দা রমেন বিশ্বাস বলেন, নদী ভাঙন নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন এলাকার মানুষজন। গত ৫ বছর বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেকবার নদী ভাঙন থেকে রক্ষার দরখাস্ত দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তাই নিজেরাই বেড়িবােধেঁর নির্মাণের স্থানে কংক্রিটের পিলার নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।

দোরান নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, প্রতিবছর গড়াই নদীর ভাঙনে আমাদের দোরান নগর গ্রামের রাস্তা ও বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনে থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী ও সমাজের বৃত্তবান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। গেল বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি বেড়িবাধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে এবার নতুন করে ইট, বালু, লোহার রড় ও কংক্রিটের ঢালাইয়ের পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে গোটা গ্রাম।

ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মন্ডল বলেন, আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। আমারা প্রতি বছর ভাঙনের মুখে পড়ছি। ভাঙনের কারণে বাড়ি ও রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই বেড়িবাঁধ ইট-বালু, সিমেন্ট, লোহার রড দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের এই বেড়িবাঁধ তৈরিতে আনুমানিক প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোচ্ছা. মমতাজ মহল বলেন, যারা স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময় উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসে তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, অসময়ে গড়াই নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভাঙনের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।