সারা বাংলা

টেকনাফ সীমান্তের মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির শব্দ

তিন দিন শান্ত থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আবারও বিস্ফোরণের শব্দের পাশাপাশি বিমান থেকেও চলছে গোলাবর্ষণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এতে সীমান্তের টেকনাফের বাসিন্দাদের মাঝে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার পর থেকে আর বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। কিন্তু তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া এবং হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ফুলেরডেইলসহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের অন্তত ২ থেকে ৩ কিলোমিটার ভিতরে রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার ও নাকপুরা এলাকা ঘিরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। এতে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসে এপারেও।

এ সময় আকাশের অনেক উঁচু থেকে চক্কর দিতে দিতে বিমানযোগে মর্টার শেল বা বোমা বর্ষণ করতেও দেখা গেছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সদস্যরা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ নেয়া বলিবাজার এলাকায় এ হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, তিন দিন পর সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ভোর থেকে থেমে থেমে শুরু হয় গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ। সকাল ৯টার পর তা থেমে যায়। পরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টানা বিকট শব্দ ভেসে এসেছে। ওই সময় মিয়ানমারের বলিবাজার ও নাকপুরা পাড়ার দিকে আকাশে বিমানের চক্কর দিতে দেখা গেছে। বিমান থেকে গুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে শব্দ কমলেও এখনও থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, তিন দিন পর আবারও গোলাগুলি শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। 

টেকনাফের উনচিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক তাহের নঈম জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি তিন দিন ধরে একটু স্বাভাবিক ছিল। তিন দিন পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে।