সারা বাংলা

খুলনায় নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল

খুলনার বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। ভোক্তাদের দাবি, রমজানের আগে প্রতিটি পণ্যের দাম যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য প্রশাসনকে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  

শুক্রবার ও গতকাল শনিবার (২ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শীতকালীন সিম ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া  ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। 

কমনি ভোজ্য তেল সয়াবিনের দাম। বাজারে ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকা দরে। যা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা দরে। চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে রসুন। প্রতিকেজি দেশি রসুন মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, মশুর ডাল (চিকন) ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মশুর ডাল (মোটা) ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত তিন মাস আগে রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে চিনির বাজারে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে। 

দীর্ঘদিন ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি স্বর্না মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ২৮ বালাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ভালো মানের ৬৮ টাকা, নিম্নমানের ৬০ টাকা, বাসমতি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজান কড়া নাড়লেও কমছে না ছোলার দাম। এখনো প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে।

মহানগরীর এ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটে বাজার করতে আসা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভোজ্য সয়াবিন তেল, রসুন, চিনি ও পেঁয়াজের মূল্য এখনো নাগালের বাইরে। যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের জন্য এসব পণ্য কেনা খুব কষ্টকর। সামনে রমজান মাস। তাই রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে আসে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।  

নগরীর ময়লাপোতাস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা মৎস্য ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, সামনে রোজার মাস, তাই রমজান শুরুর আগে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।

অপর ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ আছে। বেশি দামে সবজি কিনতে হয়, ফলে খুচরা বাজারে দাম বেশি। 

ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিকেজি আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সবজির সরবরাহ আছে। অনেক সবজির দাম আগের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলার সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমজানেও অভিযান চলমান থাকবে।