আইন ও অপরাধ

স্বাস্থ্যের আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর সত‌্যতা খুঁজে পে‌য়ে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন।

ক‌মিশ‌নের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম মামলার তদন্ত শে‌ষে স্বামী স্ত্রী উভয়‌কে দায়ী ক‌রে আদাল‌তে মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তি‌নি ব‌লেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানম উভ‌য়ে ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছেন তারা। দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা মালেশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও তিনটি প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় দুটি ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন। এর মধ্যে আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অজি ডলার এবং কানাডায় কানাডিয়ান ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ ডলার পাচার করেন। তার রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অজি ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ৩০৭ কোটি পাওয়া গেছে। তাদের ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লেনদেন তদন্ত করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।