অর্থনীতি

রেংমিটচ্য ভাষার স্কুলে পানির ট্যাংক ও শিক্ষা সামগ্রী দিলো ওয়ালটন প্লাজা

বান্দরবানে ম্রো জনগোষ্ঠীর ‘রেংমিটচ্য’ ভাষায় কথা বলতে পারাদের মধ্যে জীবিত রয়েছেন মাত্র ছয় জন। যাদের অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব বয়সের। তাদের মৃত্যু হলে রেংমিটচ্য নামের ভাষাটিরও মৃত্যু ঘটবে। এ অবস্থায় রেংমিটচ্য ভাষার চর্চা বাড়ানোর জন্য ক্রাংসিপাড়ায় একটি স্কুল নির্মাণ করে দিয়েছে বান্দরবান সেনা জোন।

সেই স্কুলে দেড় হাজার লিটারের একটি পানির ট্যাংক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাতা, কলম, আর্ট পেন্সিলসহ শিক্ষা সামগ্রী দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এছাড়া ক্রাংসিপাড়ায় পানি সরবরাহে সাড়ে ৪ হাজার ফুট পাইপও দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বান্দরবান জেলা শহর থেকে ১১৯ কিলোমিটার দূরে আলীকদম উপজেলা। সেখান থেকে তৈন খাল হয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় দেড় ঘণ্টা উজানে রাণীর ঘাট। সেখান থেকে এক ঘণ্টা পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় তৈনফা মৌজার দুর্গম ক্রাংসিপাড়ায়।

রোববার (১০ মার্চ) নবনির্মিত ‘ক্রাংসিপাড়া সেনা মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়’ উদ্বোধনের পর ৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের হাতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে দেওয়া শিক্ষা সামগ্রী

ওয়ালটন প্লাজার লামা শাখার ব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রায় এক মাস আগে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে রেংমিটচ্য ভাষার স্কুল নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এরই মাঝে সেনাবাহিনী স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু করে দেয়।

‘যে কারণে স্কুল নির্মাণের কাজ করতে পারেনি ওয়ালটন প্লাজা। পরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্কুলের জন্য পানির ট্যাংক ও পাড়াবাসীর মাঝে সরবরাহের জন্য সাড়ে চার হাজার ফুট পাইপের মাধ্যমে ঝিরি থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ - যোগ করেন তিনি।

নবনির্মিত ক্রাংসিপাড়া সেনা মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিংরাও ম্রো বলেন, আমাদের রেংমিটচ্য ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে এতদিন নিজের বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের পড়িয়েছি। সেনাবাহিনীর উদ্যোগে স্কুল নির্মাণ হয়েছে। তার সঙ্গে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে স্কুলে ও পাড়ায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এতে পাড়ার সবাই অত্যন্ত খুশি হয়েছে। সবার সহযোগিতায় রেংমিটচ্য ভাষা নতুন প্রজন্মের মাঝে বেঁচে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন

‌‘আমি মরে গেলে আমাদের ভাষাও মরে যাবে’