ভ্রমণ

ঈদে চট্টগ্রামের যেসব জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন

পাহাড়, সমুদ্র আর সবুজ প্রকৃতি দিয়ে সাজানো চট্টগ্রাম। এই ঈদের ছুটিতে যারা প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চান তাদের জন্য চট্টগ্রাম হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। চট্টগ্রামে অনেক রকম দর্শনীয় স্থান রয়েছে, কয়েকটির খোঁজ জানিয়ে দিচ্ছি। 

ভাটিয়ারী লেক: এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ আর অনেক পুরোনো ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন। যা আপনার ক্লান্তি মুছে দেবে। নিজেকে নতুন করে ফিরে পাবেন। সবুজ প্রকৃতি আপনার চোখকে প্রশান্তি দেবে, মনকে করে তুলবে চনমনে। এর কাছেই রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি গলফ কোর্স। সেটিও দেখে আসতে পারেন। বিস্তৃত প্রকৃতিতে দাঁড়িয়ে দেখতে পারবেন সূর্যাস্তের সৌন্দর্যও।

সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক ও  বোটানিক্যাল গার্ডেন: এখানে গেলে মনে হতে পারে সময়টা একটু পিছিয়ে গেছে। বন্য প্রাণী, বন্য ফুল, তৃণভূমি আর ফলের বাগান দেখে আসতে পারবেন। সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন সারি সারি পাইনগাছের। আরও আছে পুকুর ও লেকফ্রন্ট। দেখতে পারবেন মনোরম ঝর্ণাধারা। পাখির কলকাকলিতে মুখোরিত থাকে সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত ইকো পার্কটি।  এখানে প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে যেকোনো যানবাহনে মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত: বড় বড় পুরোনো শিলা দিয়ে বানানো সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে পানিতে নামতে পারবেন। পা ডুবাতে পারবেন সমুদ্রের পানিতে। এই সৈকতের নিরিবিলি সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে একেবারে ভোরের দিকে যাওয়া ভালো। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে সারিবদ্ধ স্টল, সি-শেল জুয়েলারি, বিচ স্লিপার, আচার এবং শিশুদের জন্য খেলনার পসরা বসে। দেখতে অনেকটা কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেটের মতোও মনে হতে পারে। কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় অবস্থিত এ সৈকতে দেখতে পাবেন সারি সারি ছোট-বড় জাহাজ। স্পীড বোটে চড়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন সমুদ্রে। সি-বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায় সমুদ্র তীরে। চড়তে পারেন ঘোড়ায়ও। এখানে অনেক রকম সি-ফুড পাবেন।

জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর: নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের প্রাইম লোকেশনে অবস্থিত। এখানে অতীত ও বর্তমানের অনেককিছু ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নথিভুক্ত করা আছে। দেখে আসতে পারবেন জাদুঘরের এগারোটি গ্যালারি মুগ্ধকর পেইন্টিং,  বাসস্থান পুনর্গঠন, মানচিত্র ও ফটোগ্রাফ। এ ছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে  বিভিন্ন নৃ গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে জীবন্ত করে রাখা হয়েছে।

ফয়’স লেক: রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকেরা চলে যেতে পারেন চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে। ঝিঁঝিপোকার ডাক আর শিয়ালের হাঁক দুই’ই শুনতে পারবেন রাতের বেলায়। সন্ধ্যা এলেই লেকের পাড়ে জ্বলে ওঠে ক্যাম্প ফায়ার। দলে দলে সেখানে বসে গানের আসর। অনায়াসে এখানে বসেই কাটিয়ে দিতে পারেন পুরো রাত। লেকের তীরে অপেক্ষা করে সারি সারি নৌকা। চাইলেই ভাড়া নেওয়া যায়। নৌকায় কিছুদূর ঘুরে- দেখতে পারেন সবুজ প্রকৃতি, বন্য প্রাণী, চেনা-অচেনা পাখি।