সারা বাংলা

লক্ষ্মীপুরে মিলছে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ 

লক্ষ্মীপুরে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১১৫ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ মিলছে ৬৫ থেকে ৮০ মেগাওয়াট। ঘাটতির কারণে এখানে দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে প্রবিত্র রমজানের শেষদিকে ও ঈদের আগ মুহূর্তে লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

লক্ষ্মীপুর পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে  জানা গেছে, জেলায় তারা চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন।  যে কারণে প্রতিদিন যে পরিমান বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তা সরবরাহ করে বাকি সময় লোডশেডিং করে পার করতে হচ্ছে তাদের। 

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর শহরসহ জেলার সবকয়টি উপজেলা শহর এবং হাটবাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। সেহরি, ইফতারের সময় বিদ্যুত না থাকায় রোজাদারদের ভোগান্তি চরমে পোঁছেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক মতো না পাওয়ায় বাসা বাড়িতে পানি তুলতেও কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন বাসিন্দারা। ফলে গোসল ও রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পৌর এলাকায় ঠিকমতো পানি দিতে না পারার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হোসেন মাছুম ভূঁইয়া।  

লক্ষ্মীপুরের শহরের বাসিন্দা সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক জেড.এম ফারুকী বলেন, একদিকে রমজানের রোজা অপরদিকে পচন্ড গরম। পানি ও বিদ্যুতের চরম অবস্থার কারণে শহরে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম তাজুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় দৈনিক ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ মেগাওয়াট। এই সরবরাহ দিয়েই জেলার ৫টি উপজেলার মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। ফলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে ৷ 

লক্ষ্মীপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত বিদ্যুৎ উন্নয়ণ বোর্ড (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, লক্ষ্মীপুরে পিডিবির দৈনিক  চাহিদা ১৩ মেগাওয়াটের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ৭ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে তাদের লোডশেডিং করে পার করতে হচ্ছে।