রাইজিংবিডি স্পেশাল

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে নিউ মার্কেট এলাকায় মানুষের ঢল

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। ঈদ উদযাপনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীবাসী। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতেও বিকিকিনিতে জমজমাট ছিল রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা। নিউ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট ও চাদনী চকে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

রাত ১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের অলি-গলিতে মানুষ আর মানুষ। তারা দেখছেন, দরদাম করে কিনছেন। সবার হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে শপিং ব্যাগ। ক্রেতাদের অধিকাংশই তরুণ। নারীদের সংখ্যাও কম নয়। কেউ কিনেছেন প্যান্ট-শার্ট, কেউবা থ্রিপিস-শাড়ি। অধিকাংশ তরুণের হাতে দেখা যায় পাঞ্জাবি। নতুন প্যান্ট নিয়ে তাদের ছুটতে দেখা যায়, কাটিং-ফিটিং মাস্টারের কাছে। কাটিং-ফিটিং মাস্টারদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম, তবু চলছে কর্মযজ্ঞ। কারোরই দম ফেলার ফুসরত নেই। তবে, প্রচণ্ড গরমে সবার চোখে-মুখে দেখা গেছে বিরক্তির ছাপ।

আশপাশের ফুটপাতের দোকানগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার আর মানুষের ভিড়ে রাত ২টা দেখা যায় যানজট। 

গতকাল মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখে চাঁদের হাসি। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, বিক্রির জন্য আরও এক দিন সময় পাওয়া গেলো। যারা এখনো কিনতে পারেননি, তারা আজ রাতে কেনাকাটা করবেন।

যাত্রাবাড়ী থেকে বন্ধুদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে আসা রিয়াজ রহমান নামের এক তরুণ বলেন, অন্যান্য জায়গার তুলনায় নিউমার্কেটে জিনস প্যান্টের দাম কম। এজন্য কয়েকজন মিলে কিনতে এসেছি। আর রাতে ভিড় কম হবে ভেবে এসেছিলাম। কিন্তু, এসে দেখি, লোকে লোকারণ্য। যাক, তারপরও কিনতে পেরেছি। অন্যরাও দেখছে, কিনছে। 

পুরান ঢাকা থেকে আসা মোবারক হোসেন বলেন, আমরা পুরান ঢাকার মানুষ চান রাতের অপেক্ষায় থাকি। দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছি। কিনে ফেলব।

শরীফ হোসেন নামে এক প্যান্ট দোকানী বলেন, ২৯ রমজানকেই আমরা চাঁদ রাত ধরে পসরা সাজিয়েছি। সব ব্যবসায়ীর টার্গেট থাকে বিক্রি শেষ করার। কিন্তু, এবার ৩০ রোজা হওয়ায়, আমরা এক দিন বাড়তি সুযোগ পাচ্ছি। আশা করছি, বিক্রি বাড়বে। লোকজন কিনতে আসবে।

ফুটপাতে বসেছে বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান। এসব দোকানে বেচাবিক্রিও বেশ ভালো বলে জানান দোকানিরা।