উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

মাত্র ৪ বছরে ৫ লাখ টাকা পুঁজি ইয়াসমিনের

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে সফল নারী উদ্যোক্তা বনে গেছেন চাঁদপুরের মেয়ে ইয়াসমিন সুলতানা। পেয়েছেন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ২০২৩ সালে ইউএনডিপি ও আনন্দমেলায় আইসিটি গ্র‍্যান্ডের ৫০ হাজার টাকার পুরস্কারও। এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ স্বামীর সংসার সামলিয়ে এখন তার পুঁজি পাঁচ লাখ টাকা।

সম্প্রতি রাইজিংবিডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ইয়াসমিন সুলতানা।

ইয়াসমিন সুলতানা চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের সকদী পাঁচগাঁও গ্রামের মো.আব্দুল কুদ্দুস মিয়া ও আয়েশা বেগমের ছয় সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। আর তার স্বামী মো. মাসুমুর রহমান বিপুল শহরের পুরানবাজারের পূর্ব শ্রীরামদীর দোলন মাঝি বাড়ির বাসিন্দা। যিনি ঢাকাতে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করছেন।

২০০৯ সালে তিনি চাঁদপুর সদরের মৈশাদীর শাহতলী জিলানী চিশতি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বিয়ের কারণে পড়াশুনা স্নাতক পর্যায়ে এসে থেমে যায়। তবে স্বামীর সহায়তায় উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরু হয় তার।

ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, আমি স্বামীর দেওয়া হাত খরচের টাকা জমিয়ে অনলাইনে দেশি পণ্যের ব্যবসা শুরু করি। প্রথমে কুমিল্লার বিখ্যাত মোমবাটিক পোশাক নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু করি। পরে ২০২০ সাল হতে ‘সঞ্চয়িতা’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ খুলে ব্যবসায় সফলতার স্বপ্ন দেখি। এর জন্য আমি নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন থেকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন ও অফলাইনের প্রশিক্ষণ নেই। আর এরপরই ধীরে ধীরে এ অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে সফলতার দেখা পাই।

তিনি বলেন, বাটিক নিয়ে ব্যবসায় নেমে দীর্ঘ চার বছরে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমার প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়িতার ট্যাগ লাইন হচ্ছে কোয়ালিটি ফার্স্ট। বর্তমানে বাহারি ডিজাইনের মেয়েদের থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, ওড়না, হাতের কাজ করা শাড়ি, ব্লাউজ, বেডশিট আমার সঞ্চয়িতা পেজ থেকে লাইভে এসে প্রদর্শনী শুরু করছি। ক্রেতারা লাইভ দেখে নিজের পছন্দমতো পোশাকটি অর্ডার করে। প্রতি লাইভে অর্ডার করা পণ্য কুরিয়ারের মাধ্যমে পরবর্তীতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছি।

এই নারী উদ্যোক্তা আরও বলেন, স্বামীর সহযোগিতায় মাত্র তিন হাজার ৫০০ টাকায় শুরু করা ব্যবসা থেকে আমার এখন প্রায় ৫ লাখ টাকার পুঁজি হয়েছে মাত্র চার বছরে। সঞ্চয়িতা ফেসবুক পেইজের পণ্য এখন দেশের ৬৪ জেলা ছাড়িয়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশসহ ইউরোপ আমেরিকার ১৬টি দেশে এ পর্যন্ত পৌঁছেছে। সঞ্চয়িতার মোমবাটিক থেকে রেমিট্যান্স আসায় একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমার মনে সত্যিই আনন্দের জন্ম দেয়। আমি আমার এই ব্যবসার সফলতা ধরে রাখতে সবার দোয়া চাইছি।