স্বাস্থ্য

শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক

রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ভবনে শুক্রবার আগুন লাগার পর আজ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে শিশু হৃদরোগ চিকিৎসাকেন্দ্রের রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সেখানকার কার্যক্রম।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটি আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী উপস্থিত ছিল স্বাভাবিক। 

যদিও আজ হাসপাতালের পঞ্চম তলায় অবস্থিত হৃদরোগ চিকিৎসাকেন্দ্রে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখনো পোড়া গন্ধ রয়েছে। গতকাল অগ্নিকাণ্ডের পর পরই পঞ্চম তলার আইসিইউতে থাকা রোগীদের হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের আইসিইউ, এনআইসিইউ ও পিআইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।

গতকাল হাসপাতালের চতুর্থ তলার রোগীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছি। চতুর্থ তলার একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, গতকাল আগুন লাগার পর সেখানকার সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিকেল ৪টার পরে সবাইকে আবার নিয়ে আসা হয়।

তবে হাসপাতালের পঞ্চম তলার শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রের একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা আগুন লাগার বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

জানা গেছে, হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানেও শিশুদের চিকিৎসা চলছে। কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে ষষ্ঠ তলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

চিকিৎসকের কক্ষের এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও এ ব্যাপারে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে, শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে ভালো খবর হচ্ছে আগুনে কেউ আহত হয়নি, সবাইকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। যতটা দ্রুত সম্ভব হৃদরোগ ইউনিটটি চালু করা হবে। আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু হৃদরোগ ইউনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে দুই ও পরে আরও তিন- মোট পাঁচ ইউনিট মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।