বিনোদন

‘ভোটের মাধ্যমে নোংরামির জবাব দিয়েছেন শিল্পীরা’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ আক্তার পরাজিত হয়েছেন ডিপজলের কাছে। সভাপতি পদে মাহমুদ কলি হেরেছেন মিশা সওদাগরের কাছে। শুধু নিপুণ-কলি নয়, তাদের প্যানেলের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে।

নবনির্বাচিত নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ অনেকেই।

এদিকে নিপুণের প্যানেলের এই পরাজয়কে নোংরামির জবাব হিসেবেই দেখছেন নায়িকা মুনমুন। 

গতবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মুনমুনের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলেন নিপুণ আক্তার। নিপুণের অভিযোগ- ভোটের দিন জায়েদ খান মুনমুনকে টাকা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। এ কারণে ক্ষোভ আর অভিমানে এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দেননি মুনমুন।

ভোট না দেয়ার কারণ উল্লেখ্য করে মুনমুন বলেন, ‘আমি যে লজ্জা পেয়েছিলাম সে লজ্জায় এবার ইলেকশনে ভোট দিতে যাইনি। আমাকে শুধু অপদস্থ নয়, তাদের (নিপুণ) লোক দিয়ে আমার নামে ভিডিও বানিয়েও অনেকভাবে অপদস্থ করেছিল। সে জন্য দুই বছর ধরে এফডিসিতে পা রাখছি না।’

শিল্পী সমিতিতে গত দুই বছরের নোংরামির জবাব সাধারণ শিল্পীরা ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে উল্লেখ করেন মুনমুন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে শিল্পীদের মিলনমেলা। দুই বছর পরপর প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়। আনন্দ-আড্ডায় কাটে দিনটি। কিন্তু গত দুই বছর যে নোংরামি হয়েছে এবার তার জবাব দিয়েছেন সাধারণ শিল্পীরা। শিল্পী সমিতি পেয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব। মিশা-ডিপজল ভাইসহ তাদের কমিটির জয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ঈদের চেয়েও বেশি খুশি লাগছে।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েও চেয়ারে বসতে পারেননি চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পদটি নিয়ে আদালতে দৌড়ঝাঁপ ছিল চোখে পড়ার মতো। মুনমুনের মতে, ‘জায়েদ খান প্রকৃত অর্থে একজন ভালো মানুষ, ভালো নেতা। আশা করি, আগামী নির্বাচনে সমিতির নেতৃত্বে তাকে আবার পাব।’