সারা বাংলা

মাগুরায় দাবদাহে ঝরছে লিচুর গুটি, সঙ্গে কৃষকের স্বপ্ন

মাগুরায় প্রচণ্ড গরম আর প্রায় মাসব্যাপী দাবদাহে লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। কোনোভাবেই ঝরে পড়া ঠেকাতে না পেরে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় গাছের গোড়ায় সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

মাগুরা দেশের অন্যতম লিচু উৎপাদনকারী জেলা। বৃষ্টিহীন এপ্রিল মাসে দাবদাহে বিরুপ প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। প্রচণ্ড গরম আর খরায় লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে।

হাজরাপুরী গ্রামের চাষিরা জানান, লিচুর মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন গুটি ঝরতে দেখে সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। খরার সময়ে কৃষকরা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পাশে পাচ্ছেন না বলেও লিচু চাষিরা অভিযোগ করেছেন। 

হাজপুরা গ্রামের লিচু চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে লিচু উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হবে। লিচু বিক্রি করে লাভ তো দুরের কথা পুঁজি উঠবে কি-না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। আগে যে লিচু গাছ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, এবার তা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হবে। গত কয়েক দিন তীব্র তাপপ্রবাহে এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর ৬৬৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। এখান থেকে ৬৫০ মেট্রিক টন লিচু উপাদানের আশা করছেন তারা।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ইয়াসিন আলী বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে অন্যান্য জেলার মতো মাগুরায় দাবদাহ চলছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের জন্য করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি, সকাল-বিকাল গাছের গোড়ায় সেচ দিতে। যাতে গাছে রসের অভাব না হয়।’ 

তিনি বলেন, অনেক সময় পটাশের অভাবে এবং বোরন সারের অভাবে লিচু ঝরে যেতে পারে। তাই প্রতি ১০ লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরন এবং ১০০ গ্রাম পটাশ মিশ্রিত করে বিকালে বা সন্ধ্যার আগে যদি তারা গাছে স্প্রে করেন, তাহলে ঝরার সম্ভাবনা কমে যাবে। লিচুর উৎপাদন ভালো হবে।