বিনোদন

এ আর রহমানের স্টুডিও থেকে আসিফের বয়ান

বাংলা গানের ‘যুবরাজ’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর দীর্ঘদিন ধরে সংগীতাঙ্গন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখনও নিয়মিত গান করছেন। এবার মুম্বাইয়ে গিয়ে এ আর রহমানের স্টুডিওতে গান রেকর্ড করলেন তিনি। সংগীতের এমন কিংবদন্তির স্টুডিওতে গিয়ে গানে কণ্ঠ দিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এই শিল্পী।

আসিফ তার অনুভূতির কথা নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে কিংবা ছোট খুপরির মতো সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছেন মিউজিশিয়ানরা। যেখানে ইন্ডাস্ট্রি আরো বিশাল হওয়ার কথা, সেখানে সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে আমাদের পৃথিবী।’

মুগ্ধতার কথা জানিয়ে এ আর রহমান লেখেন, ‘মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রেহমান স্যারের কেমএম স্টুডিওতে। কমপক্ষে পনেরো হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও। ভিতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কি চমৎকার পরিবেশ! যারা উনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন তাদের জন্য ছাদে শেড দেয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। উনার ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।’

রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসিফ আকবর লেখেন, ‘এখানে শিল্পী মিউজিশিয়ানদের পেশাগত নিরাপত্তার চমৎকার সুরক্ষা ব্যূহ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশ এসবের ধারেকাছেও নেই। রাষ্ট্রীয় কিছু উদ্যোগ থাকলেও চামচিকা আর উলু খেয়ে ফেলে সব। সমিতি আর নির্বাচনি কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি। বয়সও বেড়েছে, হৈ চৈ করতে আর ভালো লাগে না। সৌখিন এবং মৌসুমী প্রযোজকদের সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে। রাষ্ট্র, প্লিজ একটা কিছু করুন। মিউজিক এবং মিউজিশিয়ানদের বাঁচান।’