সারা বাংলা

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আরিফ হালদার

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম হালদার তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) উচ্চ আদালতে আপিল শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

আরিফুল ইসলাম উপজেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদারের ছেলে এবং সদ্য পদত্যাগ করা দিঘিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। সেদিনই জেলা প্রশাসক বরাবর তার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করা হয়। রোববার আপিল শুনানি শেষে আবারও প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে রোববারই উচ্চ আদালত প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করা হলে সোমবার শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম হালদার বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কয়েকজন প্রার্থী আমার পেছনে লেগেছে। তাদের কারসাজিতে দু’দফা আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে উচ্চ আদালতে আমার প্রতি ন্যায় বিচার করা হয়েছে। আমরা শতভাগ আশাবাদী ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলে জনগণের রায়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো।

আরিফুল ইসলাম হালদার ছাড়াও এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে গোলাম রব্বানী শান্ত, সোনারং-টঙ্গিবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাহাত খান রুবেল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মাহবুর রহমান এবং কামারখাড়া ইউপি’র সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান দপ্তরী।

তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে ও উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেয় প্রার্থীরা। ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামি ২১ মে।